আগামী বছর অনুষ্ঠিতব্য ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে খেলা নিশ্চিত করেছে ফ্রান্স। শুক্রবার রাতে অনুষ্ঠিত বাছাই পর্বের ম্যাচে নেদারল্যান্ডসকে হারিয়েই তারা চূড়ান্ত পর্বে খেলার টিকিট পেয়েছে। কিলিয়ান এমবাপের জোড়া গোলে ২-১ ব্যবধানে নেদারল্যান্ডসকে হারায় বিশ্বকাপের রানার্স আপরা। এ জয়ে ফলের গ্রুপ পর্বে শতভাগ জয়ের রেকর্ড ধরে রেখেছে এমবাপেরা। ‘বি’ গ্রুপে ৬ ম্যাচে ৬ জয় তাদের। ১৮ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপে সবার উপরে তারা।
সময়টা খারাপ যাচ্ছিল এমবাপের। চলছিল গোলখরা। একের পর এক ম্যাচে গোলহীন সময় পার করেলেন এমবাপে। ক্লাব ফুটবলে টানা চার ম্যাচে কোনো গোল পাননি ২৪ বছরের এ অধিনায়ক। কিন্তু জাতীয় দলের হয়ে মাঠে নামতেই গোলের দরজা খুলে ফেললেন বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ গোলদাতা। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ম্যাচ শুরু হতে না হতেই গোল উৎসব করেন এমবাপের। ম্যাচের বয়স তখন মাত্র ৭ মিনিট। জোনাথন ক্লাউসের পাস থেকে বল পেয়ে দলকে এগিয়ে নেন এমবাপে। ফলে বড্ড ম্যাড়মেড়ে অভিষেক হলো নেদারল্যান্ডসের গোলরক্ষক বার্ট ভারব্রুগেনের। এ ম্যাচেই অভিষেক হয়েছে হল্যান্ডের এ গোলরক্ষকের।
এমবাপের এটা ছিল ৪১তম আন্তর্জাতিক গোল। এ গোলের মাঝ দিয়ে তিনি স্পর্শ করেছিলেন সাবেক কিংবদন্তী মিচেল প্লাতিনিকে। দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমেছিলেন ফ্রান্সের সর্বোচ্চ গোলদাতা ওলিভার জিরুদ। কিন্তু গোল সংখ্যা বাড়াতে পারেননি ফ্রান্সের হয়ে সর্বাধিক গোলদাতা এ মারিক। ৫৪ গোলে আটকে আছেন তিনি।
এমবাপে দ্বিতীয়ার্ধে গোল ব্যবধান বাড়িয়ে ২-০ করেন। প্রথমার্ধে যেমন খেলার শুরুতে গোল পেয়েছিলেন দ্বিতীয়ার্ধে তেমনি। খেলা শুরুর অষ্টম মিনিটে গোলটি করেন তিনি। অদ্রিয়েন র্যাবিয়টের সঙ্গে বল দেওয়া নেওয়া করেই ভারব্রুগেনকে হতাশায় ডোবান।
নেদারল্যান্ডসের হয়ে এ ম্যাচের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো পুরো ম্যাচ খেলার সুযোগ পান হার্টমান। আর সুযোগ গোলদাতার তালিকায় নামও লিখিয়েছেন তিনি। তার গোলেই নেদারল্যান্ডস ব্যবধান কমায়। ছয় ম্যাচের বাছাই পর্বে এই প্রথম বিশ্বকাপের রানার্স আপ দলের জাল বলের স্পর্শ পেল।
বাছাই পর্বে এ নিয়ে নেদারল্যান্ডস দুইবার ফ্রান্সের কাছে হারলো। ‘বি’ গ্রুপের শীর্ষে থাকা ফ্রান্সের এখনো দুটো ম্যাচ বাকি রয়েছে।