অর্থনীতি সমিতির সভাপতি অধ্যাপক আবুল বারকাত নিজের এক গবেষণার তথ্য তুলে ধরে বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হলে বিএনপির এককভাবে সরকার গঠনের সম্ভাবনা নেই। এই অর্থনীতিবিদের মতে, আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সর্বোচ্চ ১৬৬টি আসন পেতে পারে। আর বিএনপি সর্বোচ্চ ১৩৭টি আসন পেতে পারে। ‘ভোটারের মন বুঝে’ ও আগের চারটি ‘অপেক্ষাকৃত ভালো’ নির্বাচনের ফলাফল বিশ্লেষণের মাধ্যমে করা গবেষণায় এসব তথ্য উঠে এসেছে।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর ইস্কাটনে অর্থনীতি সমিতির মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে গবেষণার তথ্য তুলে ধরা হয়। দীর্ঘ দুই ঘণ্টা ধরে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক আবুল বারকাত। তিনি এককভাবে এই গবেষণা করেছেন, এর সঙ্গে অর্থনীতি সমিতির কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।
বক্তব্যের শুরুতে আবুল বারকাত বলেন, আসন্ন নির্বাচনে কোন দলের অবস্থা কেমন হতে পারে, তা জাতীয় কৌতূহলের বিষয়। গত কয়েকটি নির্বাচনের তথ্য ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ করা হয়েছে। দোদুল্যমান ভোটারদের মন বুঝতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষের সঙ্গে দীর্ঘ খোলামেলা আলাপ-আলোচনা করা হয়েছে। যুক্তিভিত্তিক বিশ্লেষণ পদ্ধতির মাধ্যমে আগামী নির্বাচনে দলভিত্তিক সম্ভাব্য ফলাফলে উপনীত হয়েছি।
পুরো গবেষণার ক্ষেত্রে আবুল বারকাত একটি প্রধান অনুসিদ্ধান্ত মেনে করেছেন। সেটি হলো, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক। যেখানে সব দল, প্রার্থী ও ভোটারের জন্য নির্বাচনী মাঠ হবে সমান-সমতল। ফলে গবেষণায় নির্বাচনী কারসাজি, প্রহসন, জোরজবরদস্তি, টাকাপয়সার খেল—এসব স্থান পায়নি।
গবেষণার ফলাফলে দেখা যায়, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটার ১১ কোটি ৯০ লাখ। এর মধ্যে ৭০ শতাংশ ভোটারই দলের অনুগত ভোটার। এর মধ্যে ৩০ শতাংশ আওয়ামী লীগের, ৩০ শতাংশ বিএনপির আর ১০ শতাংশ অন্যান্য দলের। আর এর বাইরের ৩০ শতাংশ ভোটার দলীয় অনুগত নন। এই দোদুল্যমান ৩০ শতাংশ ভোটার কাকে ভোট দেবেন, তা পূর্বনির্ধারিত নয়।