প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কক্সবাজার আসছেন আজ ১১ নভেম্বর। এদিন প্রধানমন্ত্রী প্রায় ৮৮ হাজার কোটি টাকার ১৯টি প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এরমধ্যে তিনি রেলসহ ১৫টি প্রকল্পের উদ্বোধন ও ৪টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন বলে জানা গেছে জেলা প্রশাসন সূত্রে। উদ্বোধনযোগ্য প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে ৯টি বড় আর ৬টি ছোট প্রকল্প।
উদ্বোধন হতে যাওয়া প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে দোহাজারি থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রেললাইন, মাতারবাড়ীর আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র, মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর চ্যানেল, বাঁকখালী নদীর উপর নির্মিত সেতু, সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে কুতুবদিয়া দ্বীপকে জাতীয় গ্রিডে সংযুক্তকরণ, উখিয়ায় বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্প, রামু উপজেলায় কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, চকরিয়ায় বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ আব্দুল হামিদ পৌর বাস টার্মিনাল সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন কাজ, কুতুবদিয়ায় ঠাণ্ডা চৌকিদার পাড়া আর সি সি গার্ডার ব্রিজ, মহেশখালীর গোরকঘাটা-শাপলাপুরের জনতাবাজার সড়ক, বিমানবন্দর উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের ভূমি ভরাট ও বাঁধ নির্মাণ প্রকল্প এবং ঈদগাঁও জাহানারা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, মহেশখালীর ইউনুছখালী উচ্চ বিদ্যালয়, উখিয়ার রত্না ও মরিচ্যা পালং উচ্চ বিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন।
অন্যদিকে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হতে যাওয়া প্রকল্পগুলো হচ্ছে মাতারবাড়ীর গভীর সমুদ্র বন্দর চ্যানেলের ১ম টার্মিনাল, টেকনাফের মাল্টিপারপাস ডিজাস্টার রিসিলেন্ট শেল্টার কাম আইসোলেশন সেন্টার, রামুর জোয়ারিয়ানালার নন্দা খালী সড়কে আরসিসি গার্ডার ব্রিজ নির্মাণ, জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয়সমূহে কাব স্কাউটিং সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় ভবন নির্মাণ প্রকল্প।
এছাড়া বিকাল ৪টায় মাতারবাড়ী কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রের টাউনশিপ মাঠে এক বিশাল জনসভায় বক্তব্য রাখবেন। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দীর্ঘ ১৮ বছর পর মহেশখালীতে জনসভায় ভাষণ দেবেন।
স্থানীয় সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক বলেন, জনসভার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। আশা করি লক্ষাধিক মানুষের সমাগম হবে। মহেশখালী এবং কুতুবদিয়াসহ সারাদেশে যে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে এতে সাধারণ মানুষ প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞ।