বাংলাদেশে নিযুক্ত ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি বলেছেন, বাংলাদেশের আগামী সাধারণ নির্বাচন গণতান্ত্রিক, বিশ্বাসযোগ্য, শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হবে বলে সারাবিশ্ব আশা করছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নও (ইইউ) এ ধরনের নির্বাচন প্রত্যাশা করে।
বুধবার বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে বৈঠক শেষে ইইউ রাষ্ট্রদূত সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে বুধবার দেড় ঘণ্টার বেশি সময় তারা অবস্থান করেন। ইইউর সঙ্গে বৈঠকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালসহ কমিশনের অন্য সদস্যরা এবং ইসি সচিব উপস্থিত ছিলেন। অন্যদিকে ঢাকায় নিযুক্ত ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলির নেতৃত্বে সুইডেন, স্পেন, ইতালি, নেদারল্যান্ডস, ডেনমার্ক, ফ্রান্স ও জার্মানির মিশনপ্রধানসহ ১০ জন উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে চার্লস হোয়াইটলি অপেক্ষমান সাংবাদিকদের জানান, বৈঠকে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। তবে তিনি বৈঠকের বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলেননি। এ বিষয়ে সাংবাদিকদের কোনো প্রশ্নেরও জবাব দেননি তিনি। তবে বিরোধীদের ভোট বর্জনের আহ্বান, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলন, তফসিল পুনঃনির্ধারণ নিয়ে যে গুঞ্জন, এসব নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেননি নির্বাচন কমিশন বা ইউরোপীয় ইউনিয়নের কেউ।
বৈঠক শেষে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও বিশ্বাসযোগ্য যাতে হয়, সেটা নিশ্চিত করতে ইসি সর্বোচ্চ পর্যায়ে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে তাদেরকে জানানো হয়েছে। কমিশনের সদস্যরা দুই সপ্তাহ ধরে ঢাকার বাইরে ঘুরেছেন। তারা প্রশাসন, জনগণকে এ বিষয়গুলো অবহিত করছেন, যাতে প্রশাসন স্থানীয়ভাবে তাদের সব শক্তিকে সমন্বিত করে; যাতে অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনটা নিশ্চিত হয়। ইসির পক্ষ থেকে এসব কথা তাদেরকে বলা হয়েছে।
সিইসি বলেন, যতদূর বুঝেছি, তারা আমাদের বক্তব্যে সন্তুষ্ট হয়েছেন। আমরা আমাদের যে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা; একটা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন করতে আইনত ও সাংবিধানিকভাবে বাধ্য, সেটা খুব স্পষ্ট করে তাদের বুঝিয়েছি, আগেও বুঝিয়েছি। আমার বিশ্বাস, আমাদের এ সাংবিধানিক সীমাবদ্ধতা এটা তারা বুঝতে পেরেছেন।
সিইসি আরও বলেন, রাজনৈতিক বিষয়ে ইসি বলেছে–রাজনৈতিক অঙ্গনে যদি কোনো মতবিরোধ, বিভেদ, বিভাজন থাকে, সেখানে কোনোভাবেই ইসি হস্তক্ষেপ করতে পারে না।