ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও দেশের প্রথিতযশা হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার (অব.) ডা. আব্দুল মালিক মারা গেছেন। তিনি ছিলেন বাংলাদেশে হৃদরোগ চিকিৎসার প্রসারে প্রথম এবং প্রধান নেতা।
মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। হাসপাতালের জনসংযোগ কর্মকর্তা সেতু এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) শাহাজাদী সুলতানা ডলি বলেন, আমাদের প্রাণপ্রিয় জাতীয় অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার (অব.) ডা. আব্দুল মালিক স্যার আর নেই। বার্ধক্যজনিত কারণে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯৪ বছর।
তিনি আরও বলেন, আমরা আমাদের অভিভাবক হারিয়েছি। দেশ কী অমূল্য সম্পদ হারিয়েছে সেটা বলে বোঝানো সম্ভব নয়। এটা আমাদের জন্য বড় ধরনের শূন্যতা তৈরি করবে।
আব্দুল মালিক ২০০৪ সালে স্বাধীনতা পদক পুরস্কার ও ২০০৬ সালে জাতীয় অধ্যাপক হিসেবে নির্বাচিত হন।
হৃদরোগ চিকিৎসার এ পথিকৃৎ ১৯২৯ সালের ১ ডিসেম্বর সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার কুচাই ইউনিয়নের পশ্চিমভাগ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
তিনি ১৯৪৯ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি হন। সেখান থেকে ১৯৫৪ সালে নভেম্বর মাসে উত্তীর্ণ হন। ১৯৫৮ সালে তাকে সিএমএইচ (সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল) পেশোয়ারে কর্নেল আজমিরের কাছে মেডিকেল স্পেশালিস্টের যোগ্যতা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। এতে প্রশিক্ষণের জন্য নির্বাচিত হন। ১৯৬৩ সালে সরকার তাকে বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য পাঠায়। এরপর ১৯৬৪ সালে তিনি এমআরসিপি পাস করেন এবং হ্যামার স্মিথ হসপিটাল অ্যান্ড পোস্টগ্রাজুয়েট মেডিকেল স্কুল, লন্ডন থেকে কার্ডিওলজিতে উচ্চতর প্রশিক্ষণ নেন।
আবদুল মালিকের স্ত্রী আশরাফুন্নেসা খাতুন। তিনি দুই ছেলে ও এক মেয়ের জনক ছিলেন। তার মেয়ে ডা. ফজিলাতুন্নেছা মালিক ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট, ঢাকার কার্ডিলজি বিভাগের অধ্যাপক। তার ছেলে মো. মাসুদ মালিক একজন ব্যবসায়ী এবং অপর ছেলে মো. মনজুর মালিক বর্তমানে কানাডায় কর্মরত।