বিএনপিসহ সমমনা রাজনৈতিক দলের ডাকা হরতাল-অবরোধে রেলে আক্রমণ বেড়েছে বলে জানিয়েছেন মো. নুরুল ইসলাম সুজন। তিনি বলেন, হরতাল-অবরোধের মতো কর্মসূচিতে চারটি ট্রেনে হামলা হয়েছে। এতে ট্রেনে থাকা পাঁচ যাত্রী নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় রেলভবনে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান রেলমন্ত্রী মো. নুরুল ইসলাম সুজন।
মন্ত্রী বলেন, গত ১৬ নভেম্বর টাঙ্গাইল স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় আগুন দেয় এবং এতে দুটি কোচ সম্পূর্ণ পুড়ে যায়। এটি সরাসরি রেলের ওপর আক্রমণের প্রথম ঘটনা। এরপর ১৯ নভেম্বর সরিষাবাড়ীতে দাঁড়িয়ে থাকা যমুনা এক্সপ্রেসে আগুন দেওয়া হয়। এতে দুটি কোচ সম্পূর্ণ পুড়ে যায়। এ দুটি ঘটনায় যদিও কোনো প্রাণহানি ঘটেনি, তবে রেলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
নুরুল ইসলাম সুজন বলেন, এরপর ২২ নভেম্বর সিলেটে উপবন এক্সপ্রেসে আগুনের ঘটনায় একটি কোচ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ১৩ ডিসেম্বর রাজেন্দ্রপুরে রেলের পাত উপড়ে ফেলা হয়, এতে দুর্ঘটনায় একজন নিহত হন। এ ঘটনায় ৫০ জনের মতো আহত হন এবং ছয়টি কোচ রেললাইন থেকে ছিটকে নিচে পড়ে যায়। আজ সকালেও তেজগাঁওয়ে ট্রেনে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে তিনটি কোচে পুড়ে যায়। চারজন নিহত হয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে রেল চলাচলে হুমকি তৈরি হয়েছে। এক্ষেত্রে প্রত্যেকের সহযোগিতা চাই। রাজনৈতিক কর্মসূচির সঙ্গে রেলকে সম্পৃক্ত করে এই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে ফেলে জনজীবন যে হুমকির মধ্যে ফেলা হচ্ছে, এটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এগুলো ফৌজদারি অপরাধ। আমরা নিরাপদ রেলযাত্রার সর্বাত্মক চেষ্টা করছি। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা হয়েছে। রেলের নিরাপত্তার জন্য ২৭০০ আনসার সদস্য চেয়েছি। দু-একদিনের মধ্যে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসবে।