দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রার্থীদের মধ্যে ৫৭ শতাংশের মূল পেশা ব্যবসা। আর বাৎসরিক আয় ১ কোটি টাকার বেশি এমন প্রার্থীর সংখ্যা ১৬৪ জন। ১০০ কোটি টাকার বেশি সম্পদ আছে এমন প্রার্থীর সংখ্যা ১৮ জন। স্বতন্ত্র ও দলীয় প্রার্থীদের মধ্যে কোটিপতি প্রার্থীর সংখ্যা ৪৮০ জন।
মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) সকালে ধানমন্ডিতে ‘নির্বাচনী হলফনামার তথ্যচিত্র: জনগণকে কী বার্তা দিচ্ছে?’ বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ ও ‘নো ইউর ক্যান্ডিডেট’ ড্যাশবোর্ড উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় সংস্থাটি।
নির্বাচনী হলফনামার তথ্যচিত্র শীর্ষক প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন টিআইবির কো অর্ডিনেটর মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট থেকে প্রার্থীদের হলফনামা সংগ্রহ করা হয়েছে। গত চার মেয়াদ বা চার সংসদ নির্বাচনের তথ্য বিশ্লেষণ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে চূড়ান্ত প্রার্থীর সংখ্যা ১৮৯৬ জন। যার মধ্যে ১৮ শতাংশ স্বতন্ত্র আর ৮২ শতাংশ প্রার্থী দলীয় প্রার্থী। যার মধ্যে ৯৪ দশমিক ৯০ শতাংশ পুরুষ আর নারী প্রার্থী ৫ দশমিক ২৪ শতাংশ। ৫৭ শতাংশ প্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক ও স্নাতকোত্তর। ৫৭ শতাংশের মূল পেশা ব্যবসা। আর আইন ও ব্যবসায়কে পেশা হিসেবে দেখিয়েছেন আইন ও কৃষিকাজ হিসেবে দেখিয়েছেন ৭ দশমিক ৭ দশমিক ৮১ শতাংশ। আর রাজনীতিকে পেশা দেখিয়েছেন ২ দশমিক ৮৬ শতাংশ। কোটিপতি প্রার্থীর মধ্যে ২৩৫ জন আওয়ামী লীগের, ১৬৩ জন স্বতন্ত্র, ৪৭ জন জাপা, ১৭ জন জেপি, ৭ জন জাসদ, ৬ জন তৃণমূল বিএনপি, ৫ জন বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল, আউটরিচ অ্যান্ড কমিউনিকেশন পরিচালক শেখ মনজুর-ই-আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন এতে।
৫ বছরে আয়-ব্যয় বৃদ্ধি প্রসঙ্গে বলা হয়, ১-৯৯ শতাংশ পর্যন্ত আয় কমেছে ৩৭ জনের , আয় অপরিবর্তিত রয়েছে ১০৭ জনের আয় ৫০ শতাংশের বেশি আয় বেড়েছে ৬০ জনের।
৫ বছরের সবচেয়ে বেশি আয় বেড়েছে ঢাকা ২০ আসনের প্রার্থী বেনজীর আহমেদের। তার আয় বেড়েছে ২২৩৮. ১০ শতাংশ। মন্ত্রীদের মধ্যে ৫ বছরের ব্যবধানে সবচেয়ে বেশি আয় বেড়েছে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির তার আয় বেড়ে ২১৩১.১২ শতাংশ।