রাজধানীর গোপীবাগে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেন আগুনের ঘটনায় নিহত চারজনের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। চারটি মরদেহের মধ্যে একজন নারী ও একজন শিশু। বাকি দুজনের মরদেহ এতটাই বিকৃত হয়ে গেছে যে শনাক্ত করা যায়নি। স্বজনরা তাদের পরিজন দাবি করলেও মরদেহ দেখে শনাক্ত করতে পারছেন না।
ঢাকা রেলওয়ে থানার (কমলাপুর) উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. সেতাফুর রহমান বলেন, ‘চারটি মরদেহের মধ্যে দুজন নারী ও শিশু। বাকি দুজন নারী না পুরুষ বোঝা যাচ্ছে না।’
তিনি বলেন, ‘নাতাশা জেসমিন (২৫) ও এলিনা ইয়াসমিন (৩০) নামে দুই নারীর মরদেহ দাবি করে তাদের স্বজনরা এসেছেন। তারা মরদেহ দেখেও শনাক্ত করতে পারেননি। ডিএনএ টেস্ট করে শনাক্ত করা হবে।’
ঢাকা মেডিকেলের ইমার্জেন্সিতে অপেক্ষমাণ এলিনা ইয়াসমিন (৩০) নামে এক নারীর মরদেহের দাবিদার সৈয়দ মুরাদ হোসেন বলেন, ‘আমার ছোট ভাইয়ের স্ত্রী, ছেলে, শ্যালক মিলে কয়েকজন রাজবাড়ী থেকে ট্রেনে উঠেছিল। বাকি সবাই নামলেও ছোট ভাইয়ের স্ত্রী অজ্ঞান হয়ে আর বের হতে পারেনি। এখানে এসে শনাক্ত করতে পারছি না।’
নাতাশা জেসমিন (২৫) নামে আরেক নারীর মরদেহের দাবিদার তার ভাই আসিফ বলেন, ‘আমার বোন ফরিদপুরের ভাঙ্গা থেকে ট্রেনে উঠেছিল। এখানে এসে আমি চিনতে পারছি না।’
এর আগে শুক্রবার রাত ৯টার পর রাজধানীর গোপীবাগে থাকা অবস্থায় বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এতে দগ্ধ হয়ে চারজনের মৃত্যু হয়। আহত হয়েছেন অনেকে। আহতরা শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউট, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল প্রভৃতি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এ ঘটনাকে নাশকতা ও পূর্বপরিকল্পিত বলছে পুলিশ। ঘটনার তদন্তে সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। কমিটিকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।