রেকর্ডগুলো নিজের করে নিতেই যেন ক্রিকেট মাঠে নামেন ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মা। দলীয় কিংবা ব্যক্তিগত, সবদিকেই রেকর্ডগুলো নিজের করে নিচ্ছেন রোহিত। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ৪২৭ দিন পর খেলতে নেমেই নিজের অর্জনের খাতা ভারী করেছেন তিনি। লম্বা সময় পর ক্রিকেটের ক্ষুদ্রতম সংস্করণে এসে টানা ডাক খেলেও রেকর্ডের খাতায় ঠিকই নাম উঠেছে রোহিতের।
রোববার ইন্দোরে টস করতে নেমেই প্রথম রেকর্ড করেন রোহিত। প্রথম ক্রিকেটার হিসাবে ১৫০টি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেললেন তিনি। ক্রিকেটের ইতিহাসে এই নজির কারও নেই। দ্বিতীয় স্থানে থাকা পল স্টার্লিং খেলেছেন ১৩৪ ম্যাচ। জর্জ ডকরেল খেলেছেন ১২৮ ম্যাচ। শীর্ষ পাঁচে থাকা বাকিদের মধ্যে শোয়েব মালিক খেলেছেন ১২৪টি টি-টোয়েন্টি। আর নিউজিল্যান্ডের মার্টিন গাপটিল খেলেছেন ১২২টি ম্যাচ। ছয়ে থাকা বাংলাদেশের মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ খেলেছেন ১২১ ম্যাচ।
নিজে রান না পেলেও ইন্দোরে আফগানদের বিপক্ষে জয় পেতে খুব একটা কষ্ট করতে হয়নি ভারতকে। ৬ উইকেটের জয়ে সিরিজটাও নিশ্চিত করেছে রোহিতের দল। তাতেও আরেকটি রেকর্ড গড়েছেন তিনি। অধিনায়ক হিসেবে টানা ১০টি দ্বিপাক্ষিক টি-টোয়েন্টি সিরিজ় জিতেছেন রোহিত। তার আগে এই কীর্তি শুধুমাত্র ছিল সরফরাজ় আহমেদের। পাকিস্তানের অধিনায়ক হিসাবে টানা ১০টি দ্বিপাক্ষিক টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতেছিলেন তিনি।
এখানেই থামছে না ভারতের অধিনায়কের কীর্তি। এখন পর্যন্ত ম্যান ইন ব্লুদের নেতৃত্ব দিয়ে ১২টি দ্বিপাক্ষিক টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতলেন রোহিত। এটিও একটি রেকর্ড। তিনি ছাড়া আর কোনও অধিনায়ক এতবেশি সিরিজ জিততে পারেননি।
এ দিনের জয়ে সাবেক অধিনায়ক মহেন্দ্র সিংহ ধোনির কীর্তিও ছুঁয়ে ফেলেছেন রোহিত। ভারতের অধিনায়ক হিসাবে ৭২টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়ে ৪১টি জিতেছিলেন ধোনি। আফগানিস্তানকে ইন্দোরে হারিয়ে রোহিতও ৪১টি ম্যাচ জিতেছেন। তবে তিনি তা করেছেন ৫৩টি ম্যাচে।
চলতি বছরই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। তার আগে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধেই শেষ আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি সিরিজ় খেলছে ভারত। এর পরে রয়েছে আইপিএল। আফগানিস্তান সিরিজ ও আইপিএল দেখেই বিশ্বকাপের দল নির্বাচন করবে ভারত। সেখানে রোহিতই ভারতকে নেতৃত্ব দেন কি না সেটাই এখন আগ্রহের বিষয়।