ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) শেখ হাসিনাকে টানা চতুর্থবারের মতো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ায় অভিনন্দন জানিয়েছে। একই সঙ্গে বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্ব ও সহযোগিতাকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ইইউ। ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি আজ বৃহস্পতিবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এসব কথা বলেন।
হোয়াইটলির উদ্ধৃতি দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি নূরে এলাহি মিনা বাসসকে বলেন, গ্লোবাল গেটওয়ে সুবিধার আওতায় পরিবেশ, সুশাসন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি এবং পরিবহনসহ বিভিন্ন খাতে বাংলাদেশ বিদ্যমান যে সুবিধা পাচ্ছে, তা আগামী দিনে আরও জোরদার হবে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সম্প্রতি বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে অনুষ্ঠিত গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরাম সম্মেলনে ইইউ বাংলাদেশকে ৪০৭ মিলিয়ন ইউরো দিয়েছে।
ইইউ রাষ্ট্রদূত অস্ত্র ছাড়া সবকিছু (ইবিএ) সুবিধার আওতায় বাংলাদেশকে দেওয়া সুযোগ-সুবিধা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দেন। তিনি বাংলাদেশকে জিএসপি প্লাস সুবিধা দেওয়ার ও অঙ্গীকার করেন। ইইউ রাষ্ট্রদূত প্রতিবন্ধী ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে শেখ হাসিনা সরকারের গৃহীত উদ্যোগেরও ভূয়সী প্রশংসা করেন।
বৈঠকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী গত ৫০ বছরে তাঁর দেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্কের বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন। আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যকার এই সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় উন্নীত হবে। প্রধানমন্ত্রী ইবিএর অধীনে অব্যাহত সমর্থনের জন্য ইইউকে ধন্যবাদ জানান এবং গ্লোবাল গেটওয়ে কর্মসূচির আওতায় নবায়নযোগ্য জ্বালানিসহ বিভিন্ন খাতে আরো সহযোগিতা কামনা করেন।
অ্যাম্বাসেডর এ্যাট লার্জ মো. জিয়াউদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া এ সময় উপস্থিত ছিলেন।