উপজেলায় ইভিএমে ভোটগ্রহণের কথা ভাবছে ইসি

ইভিএম
প্রতীকী ছবি

দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের পর থেকেই নির্বাচন কমিশন (ইসি) প্রস্তুতি নিচ্ছে উপজেলা নির্বাচনের। তার আগে বাকি থাকা কয়েকটি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ও পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ৯ মার্চ। ইতোমধ্যেই এগুলোতে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এছাড়া উপজেলা নির্বাচনেও কিছু ইভিএম ব্যবহারের কথা ভাবছে ইসি।

আইন অনুযায়ী উপজেলা পরিষদের মেয়াদ হচ্ছে প্রথম সভা থেকে পরবর্তী পাঁচ বছর। আর নির্বাচন করতে হয় মেয়াদপূর্তির আগের ১৮০ দিনের মধ্যে। সে অনুযায়ী এরই মধ্যে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ক্ষণগণনা শুরু হয়ে গেছে। প্রথম ধাপে নির্বাচন করা যায়, এমন অন্তত ১০০ উপজেলার তালিকা প্রস্তুত রয়েছে এবং উপজেলার প্রথম ধাপের নির্বাচনের তফসিল হতে পারে জানুয়ারি শেষ সপ্তাহে বলে জানায় নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

বৃহস্পতিবার (১৭ জানুয়ারি) ইসির পাঠানো এক চিঠিতে হঠাৎ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) নিয়ে সভা ও প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত চিঠি প্রকাশ পেলে জনমনে প্রশ্ন জাগে তাহলে আসন্ন উপজেলা নির্বাচন ইভিএমে হচ্ছে কি না।

নির্বাচন কমিশনের প্রকল্প পরিচালক সৈয়দ রাকিবুল হাসান স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, প্রকল্প কার্যালয় এবং প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানে সংরক্ষিত ইভিএম সেটগুলোর সঠিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণ এবং সংরক্ষণের নিমিত ইনভেন্টরি ম্যানেজমেন্ট মডিউল ব্যবহার করা অত্যন্ত জরুরি। মাঠ পর্যায়ে সংরক্ষিত ইভিএম সেটগুলোর তথ্য সঠিকভাবে সংরক্ষণের লক্ষ্যে আঞ্চলিক, সিনিয়র জেলা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা এবং সংশ্লিষ্ট কার্যালয়ের মনোনীত ডাটা এন্ট্রি অপারেটরদের অংশগ্রহণে আগামী ২১ জানুয়ারি সকাল ১১টায় একটি অনলাইন সভার আয়োজন হবে। সেই সভাতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে অংশ নিতে বলা হয়।

এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ ও পৌরসভার নির্বাচন বাকি ছিল দুয়েকটা। সেগুলো ৯ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে এবং এগুলোতে ইভিএমে ভোটগ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদ ছাড়াও উপজেলা নির্বাচনেও কিছু ইভিএম ব্যবহার হতে পারে। যে সংখ্যক ইভিএম সচল আছে সেগুলো ভোটে ব্যবহার হবে। তবে কোন এলাকার নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার হবে সে বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।

শেয়ার করুন