সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি গঠন

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
ফাইল ছবি

অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীকে আহ্বায়ক করে ‘সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি’ গঠন করেছে সরকার। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ রোববার এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

কমিটিতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন ১০ মন্ত্রী ও দুই প্রতিমন্ত্রী। এছাড়াও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী অথবা প্রতিমন্ত্রীও থাকবেন কমিটিতে।

কমিটির সদস্যরা হলেন-

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী র, আ, ম, উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, পরিকল্পনামন্ত্রী আব্দুস সালাম, কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুস শহীদ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন, যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী নাজমুল হাসান, বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম (টিটু) এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রীরা।

ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিকে সহায়তাদানকারী কর্মকর্তারা হলেন-

মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব বা সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক, বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ, অর্থ বিভাগের সচিব, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব, পরিকল্পনা কমিশনের সংশ্লিষ্ট সদস্য, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা বিভাগের সচিব, বাংলাদেশ পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অথরিটি(বিপিপিএ), বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের মহাপরিচালক।

এছাড়া প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘কমিটির বৈঠক প্রয়োজনানুসারে অনুষ্ঠিত হবে। মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ কমিটির সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের অগ্রগতি পরিবীক্ষণ করবে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ কমিটিকে সহায়তা দেবে। এ বিষয় মন্ত্রীপরিষদ বিভাগের ২০১৯ সালের ১৫ জানুয়ারি জারিকৃত প্রজ্ঞাপন বাতিল করা হলো। এটি অবিলম্বে কার্যকর হবে।’ এ কমিটিতে ‘সচিব’ বলতে সিনিয়র সচিব এবং ভারপ্রাপ্ত সচিবও অন্তর্ভুক্ত হবেন।

কমিটির কার্যপরিধি:

(১) ক. উন্নয়ন প্রকল্পের ক্ষেত্রে সকল মন্ত্রণালয়/বিভাগ, অধিদপ্তর/পরিদপ্তর, অধস্তন দপ্তর, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা ও রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন শিল্প প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রেরিত এককভাবে ১০০ (একশত) কোটি টাকার ঊর্ধ্বের পূর্ত কাজ ও ভৌত সেবা এবং পণ্য/যন্ত্রপাতি/সরঞ্জামাদি ও সংশ্লিষ্ট সেবা ক্রয় ও চুক্তি সম্পাদনের প্রস্তাব বিবেচনা;

খ. অনুন্নয়ন বাজেটের ক্ষেত্রে সকল মন্ত্রণালয়/বিভাগ, অধিদপ্তর/পরিদপ্তর, অধস্তন দপ্তর, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা ও রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন শিল্প প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রেরিত এককভাবে পূর্ত কাজের ক্ষেত্রে ১০০ (একশত) কোটি টাকার এবং পণ্য/যন্ত্রপাতি/সরঞ্জামাদি ও সংশ্লিষ্ট সেবার ক্ষেত্রে ৫০ (পঞ্চাশ) কোটি টাকার ঊর্ধ্বের ক্রয় ও চুক্তি সম্পাদনের প্রস্তাব বিবেচনা;

(২) ক. উন্নয়ন প্রকল্পের ক্ষেত্রে পরামর্শক সার্ভিস (কনসালটেন্সি সার্ভিসেস) সংক্রান্ত ৩০ (ত্রিশ) কোটি টাকার ঊর্ধ্বের চুক্তি সম্পাদনের প্রস্তাব বিবেচনা;

খ. অনুন্নয়ন বাজেটের ক্ষেত্রে পরামর্শক সার্ভিস (কনসালটেন্সি সার্ভিসেস) সংক্রান্ত ২০ (বিশ) কোটি টাকার ঊর্ধ্বের চুক্তি সম্পাদনের প্রস্তাব বিবেচনা;

(৩) উপরের (১) ক, খ এবং (২) ক, খ উপ-অনুচ্ছেদে উল্লিখিত অংকের [অর্থাৎ উন্নয়ন প্রকল্পের ক্ষেত্রে যথাক্রমে পূর্ত কাজ ও ভৌত সেবা এবং পণ্য/যন্ত্রপাতি/সরঞ্জামাদি ও সংশ্লিষ্ট সেবা ক্রয়/চুক্তি অনুমোদন সংক্রান্ত ১০০ (একশত) কোটি টাকার ঊর্ধ্বের ও পরামর্শক সার্ভিস-এর ক্ষেত্রে ৩০ (ত্রিশ) কোটি টাকার ঊর্ধ্বের এবং অনুন্নয়ন বাজেটের ক্ষেত্রে পূর্ত কাজ ক্রয়/চুক্তি অনুমোদনের ক্ষেত্রে ১০০ (একশত) কোটি টাকার ঊর্ধ্বের, পণ্য/যন্ত্রপাতি/সরঞ্জামাদি ও সংশ্লিষ্ট সেবা সংক্রান্ত ক্রয়/চুক্তির ক্ষেত্রে ৫০ (পঞ্চাশ) কোটি টাকার ঊর্ধ্বের ও পরামর্শক সার্ভিসের ক্ষেত্রে ২০ (বিশ) কোটি টাকার ঊর্ধ্বের] পুনঃদরপত্র সংক্রান্ত সকল প্রস্তাব বিবেচনা;

(8) সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অনুসৃত দরপত্র পদ্ধতির পরিবীক্ষণ ও পর্যালোচনা; এবং

(৫) কোনো আইন, বিধি বা নীতিমালায় এ কমিটি কর্তৃক বিবেচনার জন্য কোনো বিষয় নির্ধারণ করা থাকলে তা বিবেচনা।

শেয়ার করুন