ভারতের অন্যতম সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা ‘পদ্মশ্রী’ পাচ্ছেন প্রথিতযশা রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা। ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) নয়াদিল্লিতে এ সম্মাননা পাওয়া ব্যক্তিদের নাম ঘোষণা করা হয়।
এ বছর পদ্ম বিভূষণ, পদ্ম ভূষণ ও পদ্মশ্রী— এই তিন ক্যাটাগরিতে ১৩২ জন সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন। ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের হাতে সম্মাননা তুলে দেওয়া হবে।
সঙ্গীত ভুবনে রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার পড়াশোনা বিস্তর। তিনি রবীন্দ্রসঙ্গীত ছাড়াও ধ্রুপদী, টপ্পা ও কীর্তন গানের ওপর শিক্ষা লাভ করেছেন। প্রাথমিক অবস্থায় বন্যা ‘ছায়ানট’ ও পরে ভারতের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। এই সংগীতশিল্পী বাংলাদেশের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গেও ব্যাপকভাবে সমাদৃত।
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা সঙ্গীতচর্চায় শান্তিদেব ঘোষ, কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, নীলিমা সেন এবং আশীষ বন্দ্যোপাধায়ের মতো সঙ্গীতজ্ঞদের সান্নিধ্য লাভ করেছেন। তিনি ‘সুরের ধারা’ নামের একটি সঙ্গীত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু করেন।
এ পর্যন্ত বহু অ্যালবাম প্রকাশিত হয়েছে বন্যার। এর মধ্যে রয়েছে- ‘স্বপ্নের আবেশে’, ‘সকাল সাঁঝে’, ‘ভোরের আকাশে’, ‘লাগুক হাওয়া’, ‘আপন পানে চাহি’, ‘প্রাণ খোলা গান’, ‘এলাম নতুন দেশে’, ‘মাটির ডাক’, ‘গেঁথেছিনু অঞ্জলি’, ‘মোর দরদিয়া’, ‘শ্রাবণ তুমি’ ও ‘ছিন্নপত্র’ ইত্যাদি।
সঙ্গীতে অসামান্য অবদান রাখায় ২০১৬ সালে রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা লাভ করেছেন দেশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা স্বাধীনতা পদক। এ ছাড়া তিনি ফিরোজা বেগম স্মৃতি স্বর্ণপদক, সিটিসেল-চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ড, আনন্দ সঙ্গীত পুরস্কারসহ বহু পুরস্কার পেয়েছেন। ভারতেও তিনি বেশ কিছু পদক পেয়েছেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে বঙ্গভূষণ।
১৯৫৪ সাল থেকে ভারতে পদ্ম সম্মাননা বা পুরস্কার চালু হয়েছে। এই পুরস্কারের লক্ষ্য অনন্য কাজকে স্বীকৃতি দেওয়া। শিল্প, সাহিত্য ও শিক্ষা, খেলাধুলা, চিকিৎসা, সমাজসেবা, বিজ্ঞান ও কারিগরি, জনপরিসর, নাগরিক পরিষেবা, শিল্প ও বাণিজ্য প্রভৃতি ক্ষেত্রে অসামান্য ও ব্যতিক্রমী কাজের জন্য এই পুরস্কার দেওয়া হয়।