পাটজাত ও চামড়াজাত পণ্যসহ দেশের রপ্তানিযোগ্য পণ্যের নতুন বাজার খুঁজতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কর্মরত কমার্শিয়াল কাউন্সিলরদের নির্দেশ দিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।
আজ মঙ্গলবার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষ থেকে অনলাইনে যুক্ত হয়ে বিশ্বের ২৩ দেশে কর্মরত কমার্শিয়াল কাউন্সিলরদের তিনি এ নির্দেশনা দেন।
আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৫ সালের ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় সকল কমার্শিয়ালকে কর্মরত দেশের একটি করে স্টল নিশ্চিত করতে এখন থেকে কাজ করাও নির্দেশ দেন প্রতিমন্ত্রী।
এছাড় বাংলাদেশ যেসব পণ্য পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করে, বিশেষ করে নিত্যপ্রয়োজনীয় যেসব পণ্য আমদানি হয় তার উৎপাদন ও মূল্য সক্রান্ত তথ্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানোরও নির্দেশনা প্রদান করেন তিনি।
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, যেসব দেশে রপ্তানির চেয়ে আমদানি বেশি হয় সেসব দেশে বিকল্প কোন কোন পণ্য রপ্তানি করে আমদানি-রপ্তানিতে ভারসাম্য আনা যায় তা নিয়ে কাজ করতে হবে। যদি কোনো বাণিজ্য বাধা (ট্যারিফ-নন ট্যারিফ) থাকে তাও দ্রুত সমাধানে উদ্যোগ নিতে হবে।
সব কমার্শিয়াল কাউন্সিলদের কর্মরত দেশের প্রথম দশটি আমদানি ও রপ্তানি পণ্যের দামসহ মন্ত্রণালয়ে তালিকা প্রেরণের নির্দেশ দেন তিনি।
তিনি বলেন, কোন দেশে কোন পণ্যের চাহিদা রয়েছে তা খুঁজে বের করে রপ্তানির ব্যবস্থা নিতে হবে।
প্রতিটি দেশের আমদানি-রপ্তানিকারক, ব্যবসায়ী এসোসিয়েশন, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান এমনকি ব্যক্তি পর্যায়ে সম্পর্ক তৈরির মাধ্যমে যোগাযোগ বৃদ্ধির আহ্বান জানিয়ে তাদের সাথে নিয়মিত সভা-সেমিনার করে বাংলাদেশি পণ্যের ব্রান্ডিং করার উপর গুরুত্বারোপ করেন আহসানুল ইসলাম টিটু।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করছে তা বাস্তবে রুপ দিতে সকলকে দেশপ্রেমে উদ্ধুদ্ধ হয়ে কাজ করার পরামর্শ দেন তিনি।
কমার্শিয়াল কাউন্সিলরদের আরও উদ্ভাবনী হওয়ার আহ্বান জানিয়ে যেসব দেশে কমার্শিয়াল কাউন্সিলররা কর্মরত আছেন সেসব দেশের ভাষা আয়ত্ব করার পরামর্শ দিয়ে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, যেসব দেশ আন্তর্জাতিক এবং আঞ্চলিক জোটে আছে তাদের মধ্যে বাণিজ্যিক পরিসংখ্যান সম্পর্কে জানতে হবে। আগামী জুলাইয়ের মধ্যে মন্ত্রণালয় থেকে পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হবে এবং পরিকল্পনার টার্গেট অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করতে হবে বলেও জানান তিনি।
আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, পোশাক শিল্পের উপর নির্ভরতা কমিয়ে পণ্যের বহুমূখীকরণের উপর জোর দিতে হবে। আমাদের দেশ থেকে এগ্রোফুড, সি ফুড, প্লাস্টিক, সিরামিক, বাই সাইকেল, ফার্নিচার এবং চাসহ অনেক রপ্তানিযোগ্য পণ্য রয়েছে। এগুলো রপ্তানির নতুন বাজার ধরতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। সেই সাথে জরুরী ভিত্তিতে আমদানির জন্য বিকল্প বাজার খুঁজতে হবে। এককভাবে কোনো দেশের উপর নির্ভরশীল হওয়া যাবে না।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষের সভাপতিত্বে অনলাইন সভায় রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুারো-ইপিবি’র ভাইস-চেয়ারম্যান এএইসএম আহসানসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা যুক্ত ছিলেন।