মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ লড়াইয়ের রেশ বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী এলাকাতেও পড়েছে। এ বিষয়ে চীনের সহায়তা প্রত্যাশা করেন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। আজ রোববার সচিবালয়ে ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
চীনের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আলোচনার বিষয়বস্তু বলতে গিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ লড়াইয়ের রেশ বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকা পর্যন্ত এসে গেছে। সীমান্ত থেকে প্রায় সময় গোলাগুলির আওয়াজ শুনতে পাওয়া যায়। বাংলাদেশের সঙ্গে যুদ্ধ নয়, যুদ্ধটা তাদের (মিয়ানমার) অভ্যন্তরীণ। গোলাগুলির আওয়াজ যখন বাংলাদেশে চলে আসে, তখন স্বাভাবিকভাবেই বাংলাদেশের (সীমান্ত এলাকার) নাগরিকদের মধ্যে ভয়ভীতি ছড়িয়ে পড়তে পারে। এ বিষয়ে তাদের (চীন) সহায়তা আশা করছেন তিনি।
সাংবাদিকেরা জানতে চান আপনি সহযোগিতা চেয়েছেন, তারা (চীনের রাষ্ট্রদূত) কী বলেছেন? জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা ইতিবাচক জবাব দিয়েছেন। উল্লেখ্য, সর্বশেষ বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সঙ্গে সংঘর্ষের মধ্যে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ১৪ সদস্য পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। তাদের অস্ত্র ও গুলি বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) হেফাজতে আছে।