ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় আবদুল মান্নান (৭২) নামের এক ব্যক্তির গলা কাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে নিজ ঘর থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। ঘরে থাকা দুই লাখ টাকা লুট করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। পুলিশ বলছে, আবদুল মান্নানকে গলা কেটে খুন করে দুর্বৃত্তরা টাকা নিয়ে পালিয়েছে। লাশটি আজ শুক্রবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে।
নিহত আবদুল মান্নান উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নের জগন্নাথপুর গ্রামের মৃত আবদুল খালেক গাজীর ছেলে। তিনি কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। তার তিন মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে। বৃহস্পতিবার আবদুল মান্নান ব্যাংক থেকে দুই লাখ টাকা তুলে নিয়ে বাড়িতে রেখেছিলেন। আবদুল মান্নানকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে বাড়ির লোকজন চিৎকার শুরু করেন। আলমারি খুলে দেখেন, দুই লাখ টাকাও নেই।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আবদুল মান্নানের এক ছেলে বিদেশে থাকেন। তিন মেয়ের মধ্যে দুই মেয়ে চট্টগ্রামে বসবাস করেন। এক মেয়ে বাড়িতেই থাকেন। বাড়িতে থাকা ওই মেয়েও বেশ কয়েক দিন ধরে চট্টগ্রামে বেড়াতে গেছেন। আবদুল মান্নান, তার স্ত্রী আফিয়া বেগম (৬০), মেয়ের জামাতা ও এক নাতনি বাড়িতে ছিলেন। তবে পাশের বাড়াই গ্রামে বৃহস্পতিবার রাতে ওজুরী শাহ পীরের মাজারে বার্ষিক মাহফিল ছিল।
আবদুল মান্নানের স্ত্রী, জামাতা ও নাতনি ওই মাহফিলে গিয়েছিলেন। বাড়িতে একাই ছিলেন আবদুল মান্নান। তিনি ঘরে শুয়ে ছিলেন। রাত পৌনে ১০টার দিকে আফিয়া বেগম ও বাড়ির অন্য লোকজন ঘরে এসে দেখতে পান, ঘরের দরজা খোলা। আবদুল মান্নানকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে তারা চিৎকার শুরু করেন। আলমারি খুলে দেখেন, দুই লাখ টাকাও নেই। খবর পেয়ে রাতেই কসবা থানা-পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আবদুল মান্নানের লাশ উদ্ধার করে।
আফিয়া বেগম আহাজারি করে বলেন, স্বামীর অনুমতি নিয়ে ওজুরী শাহের মাহফিলে গিয়েছিলাম। বাড়িতে এসে দেখি দরজা খোলা। রক্তাক্ত অবস্থায় আমার স্বামীর লাশ পড়ে আছে। কসবা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) বিকিরন চাকমা বলেন, হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি তদন্ত চলছে। তদন্ত করে শিগগিরই প্রকৃত রহস্য উদ্ঘাটন করা হবে।