২০১৮ সালের প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী এবং জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা করা হয়েছে।
এ বছর জেএসসিতে পাসের হার ৮৫ দশমিক ২৮ শতাংশ। আর মাদ্রাসা বোর্ডের জেডিসিতে গড় পাসের হার ৮৯ দশমিক ০৪ শতাংশ। জেএসসি ও জেডিসিতে গড় পাস ৮৫ দশমিক ৮৩ শতাংশ। আর জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬৮ হাজার ৯৫ শিক্ষার্থী।
অন্যদিকে, পিইসিতে পাসের হার ৯৭.৫৯ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩ লাখ ৬৮ হাজার ১৯৩ জন শিক্ষার্থী। এ ছাড়া ইবতেদায়িতে পাসের হার ৯৭.৬৯। জিডপিএ-৫ পেয়েছে ১২ হাজার ২৬৮ জন।
গত বছরের তুলনায় এ বছর জিপিএ-৫ কমেছে। গত বছর জেএসসি ও জেডিসিতে সম্মিলিতভাবে ৮৩ দশমিক ৬৫ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করে। আর জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৯১ হাজার ৬২৮ জন।
আজ সোমবার সকাল ১০টায় শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর হাতে ফলাফলের সার সংক্ষেপ তুলে দেন।
এদিকে, দুপুর ১২টায় সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষার বিস্তারিত ফল তুলে ধরবেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
অন্যদিকে, দুপুর ১টায় নিজের মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলনে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার বিস্তারিত ফল প্রকাশ করবেন গণশিক্ষামন্ত্রী ফিজার।
আনুষ্ঠানিকভাবে ফল প্রকাশের পর নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে এবং অনলাইনে একসঙ্গে প্রকাশ করা হবে। এ ছাড়া মোবাইল ফোনের মাধ্যমেও ফল জানা যাবে।
এ বছর শতভাগ পাস করা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৪ হাজার ৭৬৯টি।
প্রসঙ্গত, গত ১৮ থেকে ২৬ নভেম্বর প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ৩০ লাখ ৯৫ হাজার ১২৩ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়।
পরীক্ষা শেষের দিন থেকে হিসাব করলে এবার এক মাসেরও কম সময়ে পিইসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ হলো।
অন্যদিকে, গত ১ থেকে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেয় ২৬ লাখ ৭০ হাজার ৩৩৩ জন শিক্ষার্থী।
উল্লেখ্য, গত কয়েক বছর ধরেই পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণির সমাপনীর ফল একই দিনে প্রকাশ করা হচ্ছে। তবে বিগত বছরগুলোতে ডিসেম্বরের শেষ দিকে ফল প্রকাশ করা হলেও এবার ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন থাকায় আগেই ফল ঘোষণা করা হলো।