আগের ম্যাচে দুইশ পার হলেও এবার লাগাম ধরে রেখেছে বাংলাদেশ। এদিন ডেথ ওভারে দারুণ বোলিং করেছেন মুস্তাফিজুররা। শেষ ৫ ওভারে মাত্র ৪৩ রান নেয় শ্রীলঙ্কা। টস হেরে ব্যাটিং করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৬৫ রানের সংগ্রহ গড়েছে লঙ্কানরা। সিরিজে টিকে থাকার লড়াইয়ে এই ম্যাচে জয়ের বিকল্প নেই শান্ত-লিটনদের হাতে। সেজন্য তাড়া করতে হবে ১৬৬ রান। প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ৩ রানে হেরে গিয়েছিল বাংলাদেশ।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ১ রানেই প্রথম উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। আভিষ্কা ফার্নান্দোকে ফেরান তাসকিন আহমেদ। ৭ বল খেলে শূন্য রানে ফেরেন এই ওপেনার। ১ রানে প্রথম উইকেট হারানোর পর জুটি গড়ে দলকে বিপর্যয় থেকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন কুশল মেন্ডিস ও কামিন্দু মেন্ডিস। ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা এই জুটিকে থামান সৌম্য সরকার। ২২ বলে ৩৬ রান করেন কুশল মেন্ডিস। তার বিদায়ে ভাঙে ৬৬ রানের জুটি।
কুশল মেন্ডিসের বিদায়ের পর রান আউটের শিকার হয়ে সাজঘরের পথ ধরেন কামিন্দু মেন্ডিসও। আউট হওয়ার আগে করেন ২৭ বলে ৩৭ রান। তার বিদায়ে ৭৭ রানে ৩ উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। দলীয় ৯২ রানে মুস্তাফিজের শিকার হন সাদিরা সামারাবিক্রমা। আগের ম্যাচে ৬১ রান করেছিলেন শ্রীলঙ্কার ব্যাটার। এবার ১১ বল খেলে মাত্র ৭ রান করেছেন সাদিরা।
৪ উইকেট হারানোর পর ঝড় তুলেছিলেন আসালাঙ্কা। তাকে থামান শেখ মেহেদী। বোল্ড হয়ে ফেরার আগে ১ চার ও ৩ ছক্কায় ১৪ বলে ২৮ রান করেন তিনি। এরপর দলের হাল ধরেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস ও দাসুন শানাকা। পঞ্চম উইকেটে এই জুটির ৫২ রানে ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৬৫ রান তুলতে সক্ষম শ্রীলঙ্কা। অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস ২১ বলে ৩২ ও দাসুন শানাকা ১৮ বলে ২০ রানে অপরাজিত থাকেন।
উইকেট না পেলেও ৪ ওভারে মাত্র ২০ রান খরচ করেন শরিফুল। ৪ ওভারে ৩৯ রান দিয়ে একটি উইকেট নেন শেখ মেহেদী। মুস্তাফিজ ৪ ওভারে ৪২ এবং তাসকিন ৩৮ রান দিয়ে নেন একটি করে উইকেট। সৌম্য সরকার ১ ওভারে ৫ রানে নেন এক উইকেট।
বাঁচামরার এই ম্যাচে একাদশে কোনো পরিবর্তন আনেনি বাংলাদেশ, প্রথম টি-টোয়েন্টির দলই থাকছে। অন্যদিকে ম্যাচ জেতার পরও একটি পরিবর্তন করেছে শ্রীলঙ্কা। আকিলা ধনঞ্জয়ার বদলে এসেছেন দিলশান মাদুশঙ্কা।