কিশোরগঞ্জের ভৈরবে মেঘনা নদীতে বাল্কহেডের ধাক্কায় ট্রলারডুবির ঘটনার চারদিন পর পুলিশ কনস্টেবল সোহেল রানাসহ আরো দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।
মরদেহ উদ্ধার হওয়া অপরজনের নাম বেলন দে। এ নিয়ে এই ঘটনায় সাতজনের মরদেহ উদ্ধার করা হলো। এখনো এক শিশু নিখোঁজ রয়েছে। সোমবার (২৫ মার্চ) সকালে পুলিশ কনস্টেবলসহ দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এর আগে রবিবার (২৪ মার্চ) ফায়ার সার্ভিস ও বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিওটিএ) ডুবুরি দল তৃতীয় দিনের মতো উদ্ধার অভিযানে নামে। এক পর্যায়ে মেঘনার তীরবর্তী পুলতাকান্দা এলাকা ও রেলসেতু এলাকা থেকে তিনটি মরদেহ উদ্ধার করে।
তারা হলেন- নরসিংদী জেলার বেলাব থানার দড়িকান্দি এলাকার দারু মিয়ার কন্যা আনিকা আক্তার (২০), অপরজন ভৈরব পৌর শহরের আমলাপাড়ার এলাকার টুটন দের স্ত্রী রুপা দে (৩০), পুলিশ সদস্য সোহেল রানার মেয়ে মাহমুদা (৮)।
উল্লেখ্য, শুক্রবার (২২ মার্চ) সন্ধ্যা ৬টার দিকে মেঘনা নদীর রেলসেতু এলাকা থেকে নৌকা নিয়ে ভ্রমণে বের হন ২১ জন যাত্রী। কিছুদূর যেতেই এক যাত্রীর অনুরোধে মাঝি হাল ছেড়ে ছবি তুলতে গেলে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি বালুবাহী বাল্কহেড নৌকাকে ধাক্কা দিলে সঙ্গে সঙ্গেই নৌকাটি ডুবে যায়।
এ সময় কয়েকজন সাঁতরে তীরে ওঠেন। পরে খবর পেয়ে নৌপুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের স্পিড বোটে এসে এক নারীর মরদেহসহ আট জনকে উদ্ধার করে। পরদিন রবিবার আরও একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। দুর্ঘটনার ৪৪ ঘণ্টা পর উদ্ধার করা হয়েছে ডুবে যাওয়া ট্রলারটি।
ভৈরব নৌ পুলিশের ওসি মনিরুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে। আটক ৩ মাঝিকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তদন্তের স্বার্থে আটকদের নাম-ঠিকানা এখন বলা যাচ্ছে না। বিআইডব্লিউটিএ, নৌ-পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের যৌথ উদ্ধার অভিযান চলছে।