বাংলাদেশে নবনিযুক্ত ছয় রাষ্ট্রদূত পৃথকভাবে তাদের পরিচয়পত্র পেশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের কাছে। ক্রোয়েশিয়া ও ভেনিজুয়েলার রাষ্ট্রদূত এবং গায়ানা, নামিবিয়া, নাইজেরিয়া ও জাম্বিয়ার হাইকমিশনারগণ বঙ্গভবনে এসে তাদের পরিচয়পত্র পেশ করেছেন।
কূটনীতিকগণ হলেন : ক্রোয়েশিয়ার পিটার লিউবিসিক, ভেনিজুয়েলার অগাস্টো মোনটাইল, গায়ানার ভেভিড গোল্ডউইন পোলার্ড, নামিবিয়ার পিয়াস ডুনাইস্কি, নাইজেরিয়ার মেজর জেনারেল ক্রিস সানডে এজ (অব.) এবং জাম্বিয়ার জুডিথ কাসাশি কে. কাংগোমা-কাপিজিমপাংগা।
অনুষ্ঠান শেষে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদিন বাসসকে জানান, কূটনীতিকদের স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, সবার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলার ক্ষেত্রে বৈদেশিক নীতি গুরুত্বপূর্ণ।
বাংলাদেশ সর্বদা ব্যবসা ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক সম্প্রসারণে অগ্রাধিকার দেয় উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করে বলেন, নবনিযুক্ত কূটনীতিকদের দায়িত্বকালীন সময়ে এই দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরো জোরদার হবে।
বাংলাদেশকে একটি ব্যাপক সম্ভাবনার দেশ উল্লেখ করে আবদুল হামিদ সংশ্লিষ্ট দেশসমূহকে তাদের স্বার্থে এদেশ থেকে সকল প্রকার সুযোগ গ্রহণ এবং বাংলাদেশে ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধির আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘চিকিৎসক, প্রকৌশলী, শিক্ষকসহ জনশক্তিতে রয়েছে বাংলাদেশের ব্যাপক অভিজ্ঞতা। আমরা আমাদের বন্ধুপ্রতিম দেশগুলোতে তাদের চাহিদা অনুযায়ী এসব দক্ষ জনবল প্রেরণের জন্য সর্বদা প্রস্তুত রয়েছি।’
রাষ্ট্রপতি রাষ্ট্রদূতদের উন্নয়ন সহযোগী হওয়ার মাধ্যমে দ্বিপক্ষীয় পর্যায়ে বিভিন্ন দেশের মধ্যে জনগণ থেকে জনগণ সংযোগ জোরদারেরও আহ্বান জানান।
রাষ্ট্রদূতরা আবদুল হামিদকে বলেন, তারা আগামী দিনের বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা বাড়াতে প্রয়োজনীয় সবকিছুই করবেন।
বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের প্রশংসা করে তারা তাদের দায়িত্ব পালনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোর সহযোগিতা কামনা করেন।
রাষ্ট্রদূতগণ মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে নিজেদের বাসভূমি ছেড়ে বাংলাদেশ ভূখন্ডে পালিয়ে আসা ১০ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর পুনর্বাসনে বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত উদ্যোগের প্রশংসা করেন।
রাষ্ট্রপতি স্থানচ্যুত রোহিঙ্গাদের মর্যাদা ও সম্মানের সঙ্গে নিজ বাসভূমে ফিরে যাওয়ার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জোরালো সহযোগিতা কামনা করেন।
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সচিবগণ এবং পররাষ্ট্র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে রাষ্ট্রদূতগণ বঙ্গভবনে এসে পৌঁছলে প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্ট (পিজিআর)-এর একটি চৌকস অশ্বারোহী দল তাদের গার্ড অব অনার প্রদান করে।