সদরঘাট পর্যন্ত মেট্রোরেল সংযোগের চিন্তা-ভাবনা চলছে: নৌপ্রতিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

ফাইল ছবি

পুরান ঢাকার সদরঘাট পর্যন্ত মেট্রোরেলের সংযোগ নেওয়ার বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘সদরঘাটের সঙ্গে মেট্রোরেলের কানেকশন যেন হয় সে বিষয়েও চিন্তা-ভাবনা চলছে। ঢাকা শহরে বসবাসকারী দক্ষিণাঞ্চলবাসীও মেট্রোরেলে করে সদরঘাট আসতে পারবেন। এটা অল্প কিছুদিনের মধ্যেই পাবে। সমন্বিত উন্নয়ন নিয়ে কাজ করছেন প্রধানমন্ত্রী। সদরঘাটও এই সুবিধা পাবে।’

শুক্রবার (৫ মার্চ) ঢাকা সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল এলাকা পরিদর্শনকালে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘পদ্মা সেতু নির্মাণের মাধ্যমে সদরঘাটের চিরায়িত চিত্র বদলে গেছে। এখানেও শৃঙ্খলা ফিরে এসেছে। পদ্মা সেতু নির্মাণের আগে এটা কোনোভাবেই সম্ভব ছিল না। আগে স্পিড বোটে শ্যামপুর থেকে সদরঘাটে আসতে হয়েছে। আমি সরাসরি রাস্তা দিয়ে এখানে আসতে পারিনি। কারণ গোলাপ শাহ মাজার থেকে এ পর্যন্ত লোকে লোকারণ্য হয়ে যেতো।’

‘এখন পদ্মা সেতুর কারণে শৃঙ্খলা ফিরে এসেছে। আমরা নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় এবং বিআইডব্লিউটিএর পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে কৃতজ্ঞতা জানাই। মানুষের মধ্যে আনন্দ দেখতে পাচ্ছি, স্বাভাবিকভাবে লঞ্চে চলাচল করতে পারছে, কোনো ধাক্কাধাক্কি নেই।’

সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল পরিদর্শন করেন নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আগে দেখতাম লঞ্চে জায়গা নেওয়ার জন্য রাত ৮টায় লঞ্চে ছেড়ে যাবে কিন্তু যাত্রীরা সকাল বেলা এসে লঞ্চে বসে থাকতো দুপুরের খাবার নিয়ে। বর্তমানে সে অবস্থাটা নেই। আস্তে আস্তে এই পরিস্থিতি আরও স্বাভাবিক হয়ে যাবে।’

তিনি বলেন, ‘সাংবাদিকদের কাছে একটা লোভনীয় ছবি ছিল যে পুরো লঞ্চ থেকে ছাদ পর্যন্ত শুধু মানুষ আর মানুষ। এই ছবি কিন্তু এখন আর পাওয়া যাবে না। গতকাল আমি ফেসবুকে একটা ছবি দেখছিলাম। বললাম এটা এখন একটা ইতিহাস, এটা আর ফিরে আসবে না।’

সদরঘাটের কর্মীরা এখন একটু স্বস্তিতে আছেন মন্তব্য করে নৌপ্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘নতুন নতুন পন্টুন ও গ্যাংওয়ে দেওয়া হয়েছে, পরিবেশ ধরে রাখার জন্য অনেক লঞ্চ মালিকের ই-টিকেটিং ব্যবস্থা চালু করেছে। কারণ এই জায়গায় ভালো সার্ভিস দিতে না পারলে মানুষ বিমুখ হয়ে যাবে। পরিবেশ ভালো আছে, আমাদের লোকজন যথাসাধ্য চেষ্টা করছে। যাত্রী সাধারণকে সেবা দেওয়ার জন্য এই প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।’

তিনি বলেন, ‘দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ অনেকটা পিছিয়ে ছিল। তাদের তুলে আনার জন্য পায়রা বন্দর করা হয়েছে। বন্দরটি হওয়াতে ওই অঞ্চলের সিনারিও পরিবর্তন হয়েছে। কাজেই পদ্মা সেতু এবং পায়রা বন্দর দক্ষিণাঞ্চলের চেহারা পরিবর্তন করে দিয়েছে। আগামী দিনে সদরঘাট আরও ফিটফাট হবে।’

এ সময় বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমোডর আরিফ আহমেদ মোস্তাফা, নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমডোর এম মাকসুদ আলম, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সাজিদুল ইসলাম, যুগ্ম-সচিব মোস্তফা কামাল, বিআইডব্লিউটিএর সদস্য সেলিম ফকির উপস্থিত ছিলেন।

প্রতিমন্ত্রী এদিন সদরঘাটে নৌযান ও ঘাট কর্মীদের মধ্যে ইফতার বিতরণ করেন।

শেয়ার করুন