ধর্ষণের দায়ে আওয়ামী লীগ নেতা বড় মনিরকে দল থেকে অব্যাহতি

নিজস্ব প্রতিবেদক

টাঙ্গাইল শহর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি গোলাম কিবরিয়া বড় মনিরকে দলীয় পদ থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এছাড়া তাকে চূড়ান্ত অব্যাহতির জন্য দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদকের কাছে সুপারিশ করেছে শহর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।

গোলাম কিব‌রিয়া বড় ম‌নির জেলা বাস মি‌নিবাস মা‌লিক স‌মি‌তির মহাস‌চিব ও টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভূঞাপুর) আস‌নের সংসদ সদস‌্য তানভীর হাসান ছোট ম‌নিরের বড় ভাই।

এর আগে ওই আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে ঢাকার তুরাগ থানায় গত ২৯ মার্চ ধর্ষণের অভিযোগ এনে মামলা করেন এক নারী। এজন্য দলীয় ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হওয়ায় তার বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতারা।

এর আগেও টাঙ্গাইলে এশা মির্জা না‌মের আরেক ক‌লেজছাত্রীকে ধর্ষণের মামলা রয়ে‌ছে বড় ম‌নি‌রের বিরু‌দ্ধে। ওই মামলায় তি‌নি উচ্চ আদালতে জা‌মি‌নে র‌য়ে‌ছেন।

টাঙ্গাইল শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র এসএম সিরাজুল হক এবং সাধারণ সম্পাদক এম এ রৌফ স্বাক্ষরিত অব‌্যাহ‌তি পত্র পাঠানো হয়েছে। দলের ঢাকা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আযমের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদকের কাছে পাঠানো হয়েছে।

দলীয় সাধারণ সম্পাদককে দেওয়া ওই চিঠিতে বলা হয়েছে ‘ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের হওয়ার পর ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক্স ও প্রিন্ট মিডিয়ায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। তার এই অনৈতিক কর্মকাণ্ডে দলীয় ভাবমূর্তি মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ণ হয়েছে এবং এ কারণে টাঙ্গাইলের সাধারণ জনগণ দলের প্রতি বিরূপ ধারণা পোষণ করছে। এমতাবস্থায় টাঙ্গাইল জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের পরামর্শ ও নির্দেশক্রমে দলের বৃহত্তর স্বার্থে এবং সুনাম ও ভাবমূর্তি বজায় রাখার নিমিত্তে গোলাম কিবরিয়া বড় মনিরকে টাঙ্গাইল শহর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি পদ থেকে সাময়িক অব্যাহতি প্রদান করা হলো এবং চুড়ান্ত অব্যাহতি প্রদানের জন্য আপনার নিকট সুপারিশ করা হলো।

এদি‌কে ঢাকায় ধর্ষণ মামলা দা‌য়ের পর দিন থে‌কেই আত্ম‌গোপ‌নে র‌য়ে‌ছেন বড় ম‌নির। জেলার কোনো অনুষ্ঠা‌নে বা দলীয় কোনো কর্মকাণ্ডে তাকে পাওয়া যায় না।

টাঙ্গাইল শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ রৌফ বলেন, ঈদের আগে দলের সাধারণ সম্পাদকের কাছে গোলাম কিবরিয়াকে চূড়ান্ত অব্যাহতি প্রদানের জন্য সুপারিশ করে চিঠি পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে সাধারণ সম্পাদকের কোনো সিদ্ধান্ত এখনো পাওয়া যায়নি।

শেয়ার করুন