ভারতের ছত্তিশগড় রাজ্যের কাঙ্কের জেলায় মাওবাদীদের ঘাঁটিতে আক্রমণ চালিয়ে ২৯ বিদ্রোহীকে হত্যা করেছে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী। এই অভিযানে নিহত হয়েছেন শীর্ষ মাওবাদী নেতা শঙ্কর রাও।
তাকে ধরিয়ে দিতে ২৫ লাখ রুপি পুরস্কার ঘোষণা করেছিল ভারত সরকার।
অভিযানের সময় ঘটনাস্থল থেকে একে-৪৭ রাইফেলসহ বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় মাওবাদীদের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিরাপত্তা বাহিনীর তিন সদস্য আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তিনি ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভড ফোর্সের সদস্য (ডিআরজি)।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি প্রতিবেদনে জানিয়েছে, মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) বিকেলে ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড ও বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের একটি যৌথ দল এই অভিযান পরিচালনা করে। বিনাগুন্ডা গ্রামের কাছে একটি বনে মাওবাদীদের সঙ্গে এই বন্দুকযুদ্ধ হয়। যৌথ টহল দল একটি বন ঘেরাও করলে তাদের উপর নির্বিচারে গুলি চালানো হয়। তখন দুপুর ২টার দিকে বন্দুকযুদ্ধ শুরু হয়।
স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, বিদ্রোহীদের সঙ্গে প্রায় ১৪ ঘণ্টা ওই বন্দুকযুদ্ধ স্থায়ী হয়েছিল। ঘটনাস্থল থেকে বন্দুক, মেশিনগান, গ্রেনেড লঞ্চার ও বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছে।
ডিআরজি–বিএসএফ যৌথ দল এই অভিযান পরিচালনা করে। মাওবাদী তৎপরতার প্রতিরোধে ২০০৮ সালে ডিআরজি প্রতিষ্ঠিত হয়। আর বিএসএফকে ওই এলাকায় বিদ্রোহ দমন অভিযানের জন্য মোতায়েন করা হয়েছে।
গত ২ এপ্রিল এ রাজ্যের বিজাপুরের জঙ্গলে আরেকটি বন্দুকযুদ্ধে কমপক্ষে ১৩ মাওবাদী বিদ্রোহী নিহত হয়। এ নিয়ে চলতি বছর নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ৭৯ মাওবাদী বিদ্রোহী নিহত হয়েছেন।