জিম্মি চুক্তিতে রাজি হতে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসকে ৭ দিনের সময় দিয়েছে ইসরায়েল। এই সময়ের মধ্যে চুক্তি না করলে গাজার রাফাহতে হামলা শুরু করা হবে বলে হুমকি দিয়েছে তারা।
মার্কিন প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ওয়ালস্ট্রিট জার্নাল শুক্রবার (৩ মে) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
এই আল্টিমেটাম কবে দেওয়া হয়েছে সেটি স্পষ্ট করে জানায়নি সংবাদমাধ্যমটি। তবে প্রতিবেদনটিতে এক মিসরীয় কর্মকর্তার শুক্রবারের বক্তব্য উল্লেখ করা হয়েছে। যার অর্থ— চুক্তিতে সম্মত হতে হামাসকে আগামী শুক্রবার পর্যন্ত সময় বেধে দিয়েছে অবৈধ দখলদার ইসরায়েল।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু কয়েক মাস ধরেই রাফাহতে হামলার হুমকি দিয়ে আসছেন।
ওয়ালস্ট্রিট জার্নাল জানিয়েছে, বিদেশে অবস্থানরত হামাসের নেতাদের হাতে চুক্তির প্রস্তাব তুলে দেওয়া হয়েছে। যেটি তৈরি করেছে মিসর।
তবে গাজায় অবস্থানরত হামাসের প্রভাবশালী নেতা ইয়াহিয়া সিনাওয়ার এখনো প্রস্তাবটি সম্পর্কে কোনো কিছু জানাননি। তার কাছে নতুন প্রস্তাবটি পৌঁছেছে কি না সে বিষয়টিও স্পষ্ট নয়। কারণ সিনাওয়ারসহ অন্যান্য বড় নেতারা গাজার বিভিন্ন সুড়ঙ্গে অবস্থান করছেন।
সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, বিদেশে অবস্থানরত হামাসের নেতারা বোঝার চেষ্টা করছেন চুক্তিটিতে আসলে কি বলা হয়েছে। এই চুক্তির মাধ্যমে কি যুদ্ধ পুরোপুরি বন্ধ হবে কিনা সে বিষয়টি বিবেচনা করছেন তারা। এছাড়া তাদের মধ্যে শঙ্কা রয়েছে, চুক্তির মেয়াদ শেষ হলেই গাজায় আবারও বর্বরতা শুরু করবে ইসরায়েলি সেনারা।
কী রয়েছে চুক্তিতে?
হামাসের কাছে চুক্তির যে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে এতে বলা হয়েছে, প্রথম ধাপে ৪০ দিন যুদ্ধ বন্ধ থাকবে। এই সময়ের মধ্যে ৩৩ জিম্মিকে মুক্তি দেবে হামাস। প্রথম ধাপের পর দ্বিতীয় ধাপ শুরু হবে। ওই সময় অন্তত ছয় সপ্তাহ যুদ্ধ বন্ধ থাকবে এবং দ্বিতীয় ধাপে আরও বেশি জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হবে। এরপর যদি দুই পক্ষ চায় তাহলে যুদ্ধ আরও এক বছর বন্ধ থাকবে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, ফিলিস্তিনিদের গাজার উত্তরাঞ্চলে যেতে দেওয়া হবে কিনা এ বিষয়টি নিয়েও চুক্তিটি ঝুলে আছে। যদিও যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, কোনো বাধা ছাড়াই গাজাবাসীকে উত্তরাঞ্চলে তাদের ঘরবাড়িতে ফিরতে দিতে রাজি হয়েছে ইসরায়েল।
মিসর ও ইসরায়েলের তৈরি এ চুক্তি প্রত্যাখ্যান করার বদলে হামাস নতুন প্রস্তাব দেবে বলে জানিয়েছে ওয়ালস্ট্রিট জার্নাল।
সূত্র: ওয়ালস্ট্রিট জার্নাল