নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কমিটি গঠন

ডেস্ক রিপোর্ট

নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়ন ও এসডিজির আলোকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্ম-পরিকল্পনা প্রণয়নের লক্ষ্যে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

কমিটিকে আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে এ সংক্রান্ত একটি খসড়া তৈরি করে সচিবের কাছে উপস্থাপনের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

গত ৩ জানুয়ারি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে।

গত ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচেনর আগে আওয়ামী লীগের ঘোষিত নির্বাচনী ইশতেহার ও এসডিজি বাস্তবায়নের আলোকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্ম-পরিকল্পনা প্রণয়ণে অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন ) গোলাম মোহাম্মদ হাসিবুল আলমকে আহ্বায়ক করে ১২ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

কমিটি চলতি বছরের ১৫ জানুয়ারির মধ্যে একটি খসড়া কর্ম-পরিকল্পনা তৈরি করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে উপস্থাপন করবে বলে সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

সভায় বলা হয়, মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়নের লক্ষ্যে এসডিজি ও আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়নের জন্য সভায় বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। সেই সঙ্গে শিক্ষা খাতে সর্বোচ্চ বরাদ্দ ও তার কার্যকর ব্যবহার নিশ্চিত করা হবে।

সভায় জানানো হয় শিক্ষা পাঠচক্রের লক্ষ্য হবে শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনুসন্ধিৎসা বাড়ানো, জ্ঞান আহরণ এবং দেশ ও জাতির অবিকৃত সত্য ইতিহাস জানার অধিকতর সুযোগ সৃষ্ঠি করা এবং শিক্ষার মান উন্নয়নে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখা হবে।

এছাড়া শিক্ষকদের বেতন ও মর্যাদা বৃদ্ধিসহ সরকারের নানা কল্যাণমুখী ও যুগোপযোগী উদ্যোগ সত্ত্বেও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতন গ্রেডসহ শিক্ষা খাতের কিছু কিছু ক্ষেত্রে যে বৈষম্য এখনও রয়ে গেছে, বর্তমান সরকারের নতুন মেয়াদে তা ন্যায্যতার ভিত্তিতে নিরসনের উদ্যোগ নেয়া হবে। সব দৃষ্টি-প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীর জন্য প্রাথমিক স্তর থেকে তাদের উপযোগী পাঠ্যবই প্রণয়নের উদ্যোগ নেয়া হবে। স্কুল ফিডিং কর্মসূচি সব গ্রাম, আধা-মফস্বল শহর এবং শহরের নিম্নবিত্ত এলাকার স্কুলগুলিতে পর্যায়ক্রমে সার্বজনীন করা হবে।

সভায় আরও বলা হয়, বাংলাদেশকে সম্পূর্ণভাবে নিরক্ষরতার অভিশাপমুক্ত করাসহ প্রাথমিক স্তরে ঝরে পড়ার হার শূন্য কোঠায় নামিয়ে আনা হবে। উপবৃত্তি প্রদান অব্যাহত থাকবে।

গত এক দশকে প্রাথমিকে ঝরে পড়ার হার ২০ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে। শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগের একমাত্র মানদণ্ড হবে মেধা।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে