রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে শেষ মুহুর্তের গোলে জার্মানির বিদায় ঘন্টা বাজাল স্পেন। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে অতিরিক্ত সময়ে গড়ানো ম্যাচটি ২-১ গোলে জিতে জার্মানিকে ঘরের মাঠে দর্শক বানালো স্পেন। জার্মানি প্রথম আয়োজক দেশ যারা ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে হেরে বিদায় নিল।
স্টুটগার্ট এরেনায় ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটেই সুযোগ পেয়েছিল স্পেন। পেদ্রির নিচু দুর্বল শট ম্যানুয়েল ন্যয়ার সহজে রুখে দেন। ষষ্ঠ মিনিটে টনি ক্রুসের কড়া ফাউলের শিকার হয়ে হাঁটুতে চোট পান পেদ্রি। প্রাথমিক চিকিৎকার পর মাঠে ফিরলেও অষ্টম মিনিটে অস্বস্তি নিয়ে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন তিনি। তার বদলে মাঠে নামেন ড্যানি ওলমো। ২১ মিনিটে কাই হাভার্টজের হেডার ধরে নেন স্পেনের গোলরক্ষক উনাই সিমন। ৩৫ মিনিটে হাভার্টজের শট বাঁচিয়ে দেন সিমন। ৪ মিনিটর পর সুযোগ পায় স্পেন, এক্ষেত্রে ওলমোর শট ঝাঁপিয়ে পড়ে বাঁচিয়ে দেন জার্মান গোলরক্ষক ম্যানুয়েল ন্যয়ার। গোলশূন্য স্কোরলাইন রেখেই বিরতিতে যায় দুই দল।
বিরতি থেকে ফিরে দারুণ একটা সুযোগ নষ্ট করে স্পেন। দ্বিতীয়ার্ধের দ্বিতীয় মিনিটে নিকো উইলিয়ামসের ভাসানো বল পেয়ে ইয়ামাল দেন আলভারো মোরাতাকে। স্প্যানিশ স্ট্রাইকার বক্সের মধ্যে থেকে শট নিলেও ক্রসবারের ওপর দিয়ে যায়। ৫১ মিনিটে ইয়ামালের বক্সের ভেতরে বাড়ানো বল ডান পায়ের শটে জালে জড়ান ওলমো।
গোল হজমের পর অবশ্য মরিয়া হয়ে উঠে জার্মানি। ৬৯ মিনিটে রবার্ট আনড্রিখের দারুণ শট ঠেকিয়ে দেন সিমন। হাভার্টজ পরে দুইবার সুযোগ নষ্ট না করলে আরও আগে সমতায় ফিরতে পারতো জার্মানি। ৮৩ মিনিটে সিমনকে একা পেয়েও বল তার ওপর দিয়ে জালে পাঠাতে ব্যর্থ হন হাভার্টজ। অবশেষে ৮৯ মিনিটে সমতায় ফেরে জার্মানি। সতীর্থের ক্রসে ব্যাক পোস্ট থেকে বল পেয়ে হেডে মিডফিল্ডার ফ্লোরিয়ান উইর্টজের দিকে বাড়ান কিমিচ। আর সঙ্গে সঙ্গে নিচু শট বাঁদিকের পোস্টে বল পাঠান উইর্টজ। সমতা ফেরার পর যোগ করা সময়ে তেমন আক্রমণ শানাতে দেখা যায়নি দুই দলকে।
৯০ মিনিটের লড়াই শেষে জার্মানি-স্পেনের ম্যাচ গেল অতিরিক্ত সময়ে। সেখানেও প্রভাব বিস্তার অব্যাহত রাখে স্বাগতিক জার্মানি। ফ্লোরিয়ান ভির্টজ আর জামাল মুসিয়ালা বারবার ঝড় তুলেছেন স্প্যানিশ ডিবক্সে। কিন্তু মার্ক কুকুরেয়া, দানি কার্ভাহালরা ঠেকিয়ে রেখেছিলেন দুই তরুণকে। আর সুযোগ বুঝে আক্রমণে উঠে ১১৯ মিনিটে বদলি নামা মিকেল মেরিনোর অসাধারণ হেডে নিস্তব্ধ হয়ে পড়ে জার্মান গ্যালারি। খেলার শেষ মিনিটে লাল কার্ড দেখেন স্পেনের ড্যানি কার্ভাহাল।