ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার খান ইউনিস থেকে গতকাল বুধবার পাঁচজন জিম্মির মৃতদেহ উদ্ধার করার কথা জানিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে হামাসের নজিরবিহীন হামলার দিন গাজায় ধরে নিয়ে যাওয়া জিম্মিদের মধ্যে এ পাঁচজনও ছিলেন। খবর রয়টার্সের।
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়, যাদের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, তাদের একজন প্রাক্-প্রাথমিকের শিক্ষক ৫৬ বছরের মায়া গোরেন। তিনি ইসরায়েলের দক্ষিণের কিব্বুৎজের নির ওজ এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। ৭ অক্টোবর হামাস যোদ্ধারা ইসরায়েলের যেসব এলাকায় বড় ধরনের আক্রমণ চালান, কিব্বুৎজ সেসবের একটি। বাকি চার জিম্মির দুজন রিজার্ভ সেনা ও দুজন সেনাবাহিনীতে বাধ্যতামূলকভাবে অন্তর্ভুক্ত হওয়া সেনা।
ইসরায়েলি আর্মি রেডিওর খবরে বলা হয়, গাজার দক্ষিণাঞ্চলের শহর খান ইউনিস থেকে ওই মৃতদেহগুলো উদ্ধার করা হয়েছে। এ সপ্তাহে ইসরায়েলি বাহিনী নতুন করে সেখানে অভিযান শুরু করেছে।
যে ৫ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, তাদের নাম গাজায় এখনো যে ১২০ জন ইসরায়েলি জিম্মি বন্দী রয়েছেন, তাদের তালিকায় ছিল। নানা তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে এ ১২০ জিম্মির এক-তৃতীয়াংশ বেঁচে নেই বলে জানিয়েছে ইসরায়েল।
গতকাল মার্কিন কংগ্রেসে ভাষণ দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। সেখানে তিনি বলেন, গাজায় বন্দী বাকি জিম্মিদের মুক্ত করে আনতে তার সরকার খুবই গুরুত্বের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে এবং তিনি এ কাজে সফল হবেন বলে আশা ব্যক্ত করেছেন।