হোয়াইট হাউসের পর এবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর থেকেও শেখ হাসিনার ক্ষমতাচ্যুতিতে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পৃক্ততার অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার নিয়মিত বিফ্রিংয়ে এই অভিযোগকে ‘হাস্যকর’ বলেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের উপপ্রধান মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল।
গতকাল মঙ্গলবার ব্রিফিংয়ের একপর্যায়ে একজন সাংবাদিক প্যাটেলের কাছে জানতে চান, ছাত্র–জনতার আন্দোলনের মুখে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্ষমতাচ্যুতির পেছনে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি সম্পৃক্ত থাকার যে অভিযোগ উঠেছে, সে বিষয়ে তার মন্তব্য কী?
জবাবে প্যাটেল বলেন, ‘এটা খুবই হাস্যকর। শেখ হাসিনার পদত্যাগে যুক্তরাষ্ট্রের জড়িত থাকার যেকোনো ধরনের অভিযোগই সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমরা গত কয়েক সপ্তাহে অনেক ভুয়া খবর দেখতে পেয়েছি, আমরা ডিজিটাল মাধ্যমজুড়ে তথ্যের বিশ্বাসযোগ্যতাকে আরও শক্তিশালী করতে দৃঢ়ভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়ার অংশীদারদের সঙ্গে।’
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে গত ৫ আগস্ট দেশ ছেড়ে ভারতে চলে যান শেখ হাসিনা। ৮ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয় অন্তর্বর্তী সরকার।
গণবিক্ষোভ চলার সময় থেকে শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশত্যাগ—এ সবকিছুর পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পৃক্ততা নিয়ে শেখ হাসিনার একটি বিবৃতির উদ্ধৃতি দিয়ে ভারতীয় কিছু গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে। অবশ্য পরে শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় দাবি করেন, তার মা এমন কোনো বিবৃতি দেননি।
গত সোমবার হোয়াইট হাউসের এক ব্রিফিংয়ে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা থাকার অভিযোগ অস্বীকার করা হয়। হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি কারিন জ্যঁ-পিয়েরে ওয়াশিংটনে ওই ব্রিফিংয়ে বলেন, এমন অভিযোগ ‘ডাহা মিথ্যা’।