ইলিশ রপ্তানির বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়াদের ‘ইমোশনাল’ বলেছেন অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। রোববার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘যে ইলিশ রপ্তানি হচ্ছে তা চাঁদপুর ঘাটের একদিনের সমপরিমাণও না। রপ্তানির বিপক্ষে যারা বলে তারা ইমোশনাল। এর বাণিজ্যিক সুবিধা আছে। ফরেন কারেন্সি আসে। রপ্তানি না করলে চোরাচালান হয়।’
দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে বেশ কয়েক বছর ধরেই বাংলাদেশ থেকে ভারতে রপ্তানি করা হয় ইলিশ মাছ। এবার তা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। গত ১১ আগস্ট দেশের মানুষের চাহিদা মিটিয়ে তারপর ইলিশ মাছ বিদেশে রপ্তানি করা হবে বলে জানিয়েছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।
এর মধ্যে গত শনিবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানায়, দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে ভারতে ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব সুলতানা আক্তারের স্বাক্ষর করা এক আদেশে বলা হয়েছে, আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে বিভিন্ন রপ্তানিকারকদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নির্ধারিত শর্ত সাপেক্ষে ৩ হাজার মেট্রিক টন ইলিশ মাছ রপ্তানির অনুমোদন দেওয়া হলো।
আদেশে বলা হয়েছে, যারা ইলিশ রপ্তানি করতে চান তাঁদের আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর বেলা ১২টার মধ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বরাবর আবেদন করতে বলা হয়েছে। উল্লিখিত তারিখের পর আবেদন গ্রহণযোগ্য হবে না। আর যারা আগেই আবেদন করেছেন তাঁদের নতুন করে আবেদন করার প্রয়োজন নেই।
ভারতে ইলিশ রপ্তানি বিষয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘ভারতে ইলিশ রপ্তানির সিদ্ধান্তে বাহবা পেয়েছি। দাম বাড়বে রপ্তানির ফলে। রপ্তানিটা গ্রেটার ইন্টারেস্ট আছে। পজিটিভলি দেখেন। পেঁয়াজ আসছে না? ওরা (ভারত) ডিউটি কমিয়ে দিয়েছে। ইমোশনাল কথা বলে লাভ নাই।’
সরকারের সর্বোচ্চ মহলের সাথে আলাপ আলোচনা করেই ভারতে ইলিশ রপ্তানির সিদ্ধান্ত হয়েছে বলেও জানান তিনি। উপদেষ্টা বলেন, ‘অনেক ভেবেচিন্তে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’