ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের নতুন প্রধান হচ্ছেন খালেদ মাশাল। একটি সূত্রের বরাতে লেবাননের এলবিসিআই নিউজ এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
এলবিসিআই নিউজ বলছে, সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে, খালেদ মাশাল হামাসের ভারপ্রাপ্ত প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন। তিনি এখন ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তির বিষয়ে আলোচনায় জড়িত মূল দলগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করবেন।
সূত্রগুলো বলছে, ইয়াহিয়া সিনওয়ারের নিহতের বিষয়টি ইতোমধ্যে হামাসের নেতৃত্ব তুরস্ক, কাতার এবং মিশরের কর্মকর্তাদের জানিয়েছে। সেইসঙ্গে জোর দিয়ে বলা হয়েছে, সিনওয়ারের মৃত্যুর পর বন্দি বিনিময় এবং যুদ্ধ শেষ করার বিষয়ে আলোচনা ক্রমশ কঠিন হয়ে উঠবে।
বুধবার (১৬ অক্টোবর) হামাসের প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ার ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় নিহত হন। গাজার রাফায় প্রাণ হারান তিনি, তবে ইসরায়েলি সেনারা জানত না তারা সিনওয়ারকে হত্যা করেছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ তার মৃত্যুর তথ্য জানিয়েছেন।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম চ্যানেল-১২ জানিয়েছে, বুধবার গাজার রাফার একটি ভবনে হামাসের কয়েকজন যোদ্ধাকে প্রবেশ করতে দেখে ইসরায়েলি সেনারা। এরপর সেখানে হামলা চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। হামলার পর সেনারা সেখানে যাওয়ার পর সিনওয়ারের মতো দেখতে এক যোদ্ধাসহ মোট তিনজনের মরদেহ পায় তারা। এরপর বৃহস্পতিবার নিশ্চিত হওয়া গেছে ওই মরদেহটি সিনওয়ারেরই ছিল।
হামাসের দুটি সূত্র সৌদির সংবাদমাধ্যম আশরাক আল-আসওয়াতকে সিনওয়ারের মৃত্যুর তথ্যটি নিশ্চিত করেছে। সূত্রগুলো জানিয়েছে, গাজার ভেতর এবং বাইরে থাকা নেতাদের সিনওয়ারের মৃত্যুর খবর জানানো হয়েছে।
তারা আরও জানিয়েছেন, সিনওয়ারের নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে কয়েকদিন আগে সবার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
সিনওয়ার ২০১৭ সাল থেকে গাজায় পলিটিক্যাল প্রধান হিসেবে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।
ইসরাইল, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের মতে, গত ৭ অক্টোবরের হামলার মাস্টারমাইন্ড তথা মূল পরিকল্পনাকারী তিনিই ছিলেন। তবে ইয়াহিয়া সিনওয়ার হামলায় নিহত হয়েছেন বলে ইসরাইল যে দাবি করেছে- তা নিয়ে এখন পর্যন্ত প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্য করেনি হামাস।