মত ও পথ ডেস্ক
ব্রাজিল মানেই সাম্বা। ব্রাজিল মানেই আকর্ষণীয় ফুটবল। ব্রাজিল মানেই ছন্দময় ফুটবল। যা প্রাণে তোলে খুশির তুফান। বেলজিয়ামও ইউরোপীয় ঘরানার মধ্যে থেকেই চেষ্টা করে আক্রমণাত্মক ফুটবলের। চেষ্টা করে ডাইরেক্ট ফুটবল খেলার। বিশ্বকাপের দ্বিতীয় কোয়ার্টার ফাইনালে ফুটবল বিশ্ব এসবই দেখল।
কিন্তু রাশিয়া বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ইতিহাস গড়লো বেলজিয়াম। টানটান উত্তেজনায় ভরপুর কাজান এরিনায় বিশ্বকাপের দ্বিতীয় কোয়ার্টার ফাইনালে দুর্দান্ত খেলেও হেরে যায় তিতের দল। পাওলিনোর বদলি হিসেবে মাঠে নেমে ব্রাজিলের পক্ষে একমাত্র গোলটি করেন আউগাস্তো। এতে কেবল ব্যবধান কমালো। হার এড়াতে পারলো না নেইমার বাহিনী।
এই বিশ্বকাপের অন্যতম ‘উত্তেজনাপূর্ণ’ কোয়ার্টার ফাইনালে প্রথমার্ধেই ২-০ তে এগিয়ে বেলজিয়াম। খেলা শুরুর ১৩ মিনিটের মাথায় আত্মঘাতী গোলে পিছয়ে পড়ে ব্রাজিল। ৩১ মিনিটে বেলজিয়ামের স্ট্রাইকার কেভিনের দুর্দন্ত শটে ব্যবধান বাড়িয়ে ২-০ তে এগিয়ে যায় বেলজিয়াম। তারপর আর ইতিহাস পাল্টায়নি। কারণ বিশ্বকাপের ইতিহাসটা যে এমন- প্রথমার্ধে দুই গোলে পিছিয়ে থেকে জিততে পারেনি কোনো দল।
বেলজিয়াম শিবির অবশ্য হুমকি দিয়ে রেখেছিল যে, কোয়ার্টার ফাইনালে নামার জন্য দল তৈরি। ফুটবলাররা ছটফট করছিল অধীর আগ্রহে। কোথাও ছিল বার্তা যে ব্রাজিলকে ফেরত পাঠানোর জন্য দল প্রস্তুত। যে ভাবে জাপানের বিরুদ্ধে দু’গোলে পিছিয়ে পড়েও জয় ছিনিয়ে নিয়েছেন অ্যাজাররা, সেই আত্মবিশ্বাসই প্রতিফলিত এই ম্যাচে। তবে এবার আর পিছিয়ে থেকে না, কাজের কাজটা খেলার প্রথম অংশেই করে রেখেছিল বেলজিয়াম।
অন্যদিকে পুরো ম্যাচে দুর্দান্ত খেলেও ১টির বেশি গোল পায়নি ব্রাজিল। ২-১ গোলের ব্যবধানে হেরে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে পড়লো তারা। আর সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে মার্টিনেজের দল প্রমাণ করলো কেন প্রতিযোগিতার সবচেয়ে আকর্ষণীয় দল বলা হচ্ছে বেলজিয়ামকে ।