সন্ত্রাসবিরোধী আইনে আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। বুধবার (২৩ অক্টোবর) রাতে এ সংক্রান্ত এক প্রজ্ঞাপন জারি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। কয়েক ঘণ্টা না যেতেই এ নিয়ে মুখ খুলেছেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন।
তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ছাত্র সংগঠনটির এই নেতা বলেন, ‘আমরা মনে করি- এই সরকারেরই আইনগত, গণতান্ত্রিক ও নৈতিক বৈধতা নেই। যাদের নিজেদেরই বৈধতা নেই, তাদের এই হাস্যকর কর্মকাণ্ড নিয়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ চিন্তিত নয়।’
সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘এই সরকারের হাতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের কর্মী এবং পুলিশের রক্তের দাগ লেগে রয়েছে। নিজেদের গণহত্যার দায় আমাদের ওপরে চাপানোর জন্যই এই সিদ্ধান্ত তারা নিয়েছে।’
ছাত্রলীগ সভাপতি আরও বলেন, ‘যেই সরকারের বৈধতা নেই, তাদের নিষিদ্ধ করার ঘোষণায় আমাদের কার্যক্রম বন্ধ থাকবে না। ছাত্রলীগ তাদের সকল কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে।’ এ সময় বর্তমান সরকারকে জামায়াত-রাজাকারদের সরকার বলেও আখ্যায়িত করেন তিনি।
এর আগে বৃধবার রাতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধের ঘোষণা দেওয়া হয়।
এদিকে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধের ঘোষণার প্রতিবাদে রাজধানীতে ঝটিকা মিছিল করেছে সংগঠনটি। বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) সংগঠনের ভোরে নেতাকর্মীরা রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকায় মিছিল করেন।
রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতাল থেকে মিছিলটি শুরু হয়। পরে এটি ধানমন্ডি ৩২ হয়ে শুক্রাবাদ-সোবহানবাগ মোড় ঘুরে ৩২ নম্বরে এসে শেষ হয়।
এছাড়া সিলেটের জিন্দাবাজার থেকে একটি ঝটিকা মিছিল বের করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।