‘বাংলাদেশে এখন যে সরকার চলছে, তা আমাদের মমতা ব্যানার্জীর সরকার।’ এমনই মন্তব্য করলেন ভারতের কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ও পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
গত ২৭ অক্টোবর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ কলকাতার সল্টলেকের এক অনুষ্ঠানে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির সদস্য সংগ্রহ অভিযানের ঘোষণা দেন। রাজ্যে বিজেপির পক্ষ থেকে এক কোটি নতুন সদস্য সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। এরপর থেকেই বিভিন্ন জেলায় দলটির সদস্য সংগ্রহ অভিযান কর্মসূচি শুরু হয়।
শনিবার (১৬ নভেম্বর) উত্তর ২৪ পরগনার খড়দহ বিধানসভার অন্তর্গত মুড়াগাছা বিলকান্দা বোর্ডঘরে সদস্য সংগ্রহ অভিযানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। পরে সমর্থকদের উদ্দেশে বক্তব্যদানকালে তিনি বলেন, গোটা রাজ্য এই মুহূর্তে ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে আছে। স্বাধীনতার ৭৫ বছর ধরে নিয়মিতভাবে এই অনুপ্রবেশ ঘটছে এবং এই ধরনের অনুপ্রবেশকারীরা বিভিন্ন জায়গা দিয়ে প্রবেশ করে আধার কার্ড, ভোটার কার্ড তৈরি করছে। তারা ভারতসহ পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা এতে উৎসাহ দিচ্ছেন। এর আগে বামফ্রন্টের নেতারাও দিতেন। দক্ষিণ ২৪ পরগনার মৌসুমী দ্বীপে গেলেই আধার কার্ড তৈরির ফ্যাক্টরি পেয়ে যাবেন।
সুকান্ত মজুমদার বলেন, এভাবে গোটা রাজ্যকে পশ্চিমবঙ্গ সরকার ভারতের অভ্যন্তরীণ সুরক্ষার জন্য হুমকি করে তুলেছে। আমি পশ্চিমবঙ্গের শুভবুদ্ধিসম্পন্ন শিক্ষিত জনগণ, যারা রাজনীতি নিয়ে অনেকটাই উদাসীন, তাদের বলব, বাংলাদেশে যে পরিস্থিতি হয়েছে আমরা তা দেখতে পেয়েছি। সেই ধরনের পরিস্থিতি যেন ভারতবর্ষে তৈরি না হয়, পশ্চিমবঙ্গে তৈরি না হয়, তার জন্য সবার সচেষ্ট ও সচেতন হওয়া উচিত।
পশ্চিমবঙ্গের পার্শ্ববর্তী রাজ্যগুলোতে বিজেপি ক্ষমতা দখল করেছে— এই বিষয়ে বলতে গিয়ে বাংলাদেশের প্রসঙ্গ টেনে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিহারে আমাদের সরকার আছে। ঝাড়খণ্ডে নির্বাচন হলেই আমাদের সরকার হয়ে যাবে। আসামসহ পশ্চিমবঙ্গের চারদিকে, বাংলাদেশ বাদ দিয়ে, সেখানে দিদির সরকার আছে- এখন যে সরকার চলছে, সেটা আমাদের মমতা ব্যানার্জীর সরকার। বাদবাকি সবদিক থেকে আমরা ঘিরে ফেলেছি। শুধু পশ্চিমবঙ্গটা বাকি আছে।
তিনি বলেন, আপনাদের কাছে আবেদন জানাচ্ছি, এই সদস্য সংগ্রহ অভিযান এগিয়ে নিয়ে যান এবং ২০২৬ সালের নির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টিকে ক্ষমতায় নিয়ে আসার দায়িত্ব নেন।