আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের সাবেক স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় নতুন সাধারণ ই-পাসপোর্টের জন্য যে আবেদন করেছিলেন, সেটি স্থগিত করা হয়েছে।
হত্যা মামলার পর আত্মগোপনে থেকে পাসপোর্ট আবেদন করায় তা স্থগিত করেছে পাসপোর্ট ও ইমিগ্রেশন অধিদপ্তর। একইসঙ্গে তার স্বামী সৈয়দ ইশতিয়াক হোসাইনের পাসপোর্ট আবেদনটিও স্থগিত করা হয়েছে।
ঢাকা বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিস সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। শিরীন শারমিন চৌধুরীর পাসপোর্ট আবেদনটির কোনো ডেভেলপমেন্ট হয়নি বলেও জানিয়েছে সূত্র।
এর আগে সাবেক স্পিকার তার স্বামী সৈয়দ ইশতিয়াক হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে গত ৩ অক্টোবর ঢাকার আগারগাঁওয়ে পাসপোর্ট অফিসে সাধারণ ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদন করেন।
আবেদনের পর ১০ অক্টোবর তাদের আঙুলের ছাপ ও আইরিশ জমা দেওয়ার কথা ছিল। অভিযোগ রয়েছে, বাড়িতে বসেই তারা আঙুলের ছাপ ও আইরিশ দিয়েছেন। এর সঙ্গে পাসপোর্ট অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জড়িত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত ২৭ আগস্ট রংপুর শহরের পূর্ব গণেশপুর এলাকার বাসিন্দা স্বর্ণশ্রমিক মুসলিম উদ্দিনকে হত্যার অভিযোগে শিরীন শারমিনসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে রংপুরের আদালতে মামলা হয়। মুসলিম উদ্দিনের স্ত্রী দিলরুবা আক্তার (৩২) মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি আমলি আদালতে মামলাটি দায়ের করেন।
ছাত্র-জনতার প্রবল আন্দোলনের মধ্যে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার গত ২২ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, মন্ত্রী, উপদেষ্টা ও সংসদ সদস্যদের জন্য বরাদ্দকৃত সব কূটনৈতিক (লাল) পাসপোর্ট বাতিল করে।