হামলা, ভাঙচুর আর নজিরবিহীন সংঘর্ষের পর ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে রাজধানীর তিনটি কলেজ ডা. মাহবুবুর রহমান মোল্লা (ডিএমআরসি), সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও কবি নজরুল কলেজ।
ডিএমআরসি শিক্ষার্থীদের দাবি, সোহরাওয়ার্দীর অধ্যক্ষ ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে থাকায় তার কলেজের শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করে, শিক্ষার্থী মৃত্যুতে দায়িত্ব অবহেলার বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করেছেন। অন্যদিকে উস্কানিমূলক বক্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ করছেন সোহরাওয়ার্দী কলেজের অধ্যক্ষ। এদিকে, তদন্তের প্রাথমিকপর্যায়ে ন্যাশনাল মেডিকেলের ৩ চিকিৎসককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে বলেও সংবাদ সম্মেলন করে জানানো হয়।
সংঘর্ষের পর ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয় রাজধানীর মাতুয়াইলের ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজ ক্যাম্পাস, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও কবি নজরুল কলেজ।
তবে মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সরেজমিনে গিয়ে মাতুয়াইলের ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের ক্যাম্পাস গিয়ে দেখা গেছে, ভবনের ভেতরে পরে আছে দরজা-জালানার ভাঙা অংশ ও ভাঙাচুরা আসবাবপত্রসহ নানা গুরুত্বপূর্ণ সামগ্রী। ভাঙচুর ও লুটপাটের পর প্রাণহীন এ ভবনটিতে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার কোনো অবস্থা নেই।
ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থীরা বলেন, সরকারি সোহরাওয়ার্দী কলেজের অধ্যক্ষ ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে থাকার কারণে শিক্ষার্থী নিহতের বিষয়টি ধামাচাপা দিতেই তাদের কলেজের শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করেছেন।
এদিকে আসন্ন এইচএসসি পরীক্ষায় প্রস্তুতির ক্ষেত্রে ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে জানান কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা৷ তারা বলেন, হামলার দিন প্রাক নির্বাচনী পরীক্ষার কথা থাকলেও তা স্থগিত করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ।
ডিএমআরসি কলেজে হামলার ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন কলেজটির অধ্যক্ষ ওবায়দুল্লাহ নয়ন। তার দাবি, ন্যাশনাল মেডিকেল কর্তৃপক্ষ সঠিক তদন্ত না করায় সংঘর্ষ ভয়াবহ রুপ নেয়।
এদিকে ত্রিশ কোটি টাকার অবকাঠামগত ক্ষতি হয়েছে হয়েছে বলে দাবি করেছেন সোহরাওয়ার্দী কলেজের অধ্যক্ষ ড. কাকলী মুখোপাধ্যায়। সেদিনের লুটপাটে সারটিফিকেটসহ কলেজের গুরুত্বপূর্ণ নথি খোয়া গেছে বলেও দাবি করেন তিনি। তবে উস্কানীমূলক বক্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি।
এ সংক্রান্ত বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন ডাকে ন্যাশনাল মেডিকেল। মেডিকেলের উপ-পরিচালকের দাবি, শিক্ষার্থীদের অভিযোগ অবহেলায় শিক্ষার্থীর মৃত্যু এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা।
ন্যাশনাল মেডিকেলের দাবি আলোচনা সাপেক্ষে আইসিইউ বিলের ৩৬,৪০০ টাকা মওকুফ করে দেন তারা৷