সিরিয়ায় সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে সেনাবাহিনীকে সরে যাওয়ার নির্দেশ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর দেশজুড়ে আনন্দ-উল্লাস করছে সাধারণ মানুষ। এদিকে দেশটির সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে সামরিক বাহিনীকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শামের (এইচটিএস) প্রধান আবু মোহাম্মেদ আল-জোলানি।

বিদ্রোহীদের আক্রমণের মুখে দামেস্ক ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ। আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না হলেও এর মাধ্যমে তার দীর্ঘ ২৪ বছরের শাসনের অবসান হয়েছে। এরই মধ্যে দামেস্কের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে সশস্ত্র বিদ্রোহীরা। তবে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের প্রতিশোধ নেওয়া হবে না বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তারা।

এর আগে বার্তা সংস্থা রয়টার্স সিরিয়ার দুজন সিনিয়র কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট আসাদ অজানা গন্তব্যের উদ্দেশে রাজধানী দামেস্ক ছেড়ে গেছেন।

যারা এই অভিযানের নেতৃত্ব দিয়েছেন তারা বলছেন, এর মাধ্যমে একটি অন্ধকার যুগের অবসান ঘটেছে এবং এক নতুন যুগের সূচনা ঘটেছে। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন, রেডিওসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে বিদ্রোহীরা।

বিদ্রোহীদেরও সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর নিয়ন্ত্রণ নেওয়া থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। আবু মোহাম্মদ আল-জুলানি জানিয়েছেন, এসব প্রতিষ্ঠান আপাতত আসাদ সরকারের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ গাজী আল-জালালির তত্ত্বাবধানে থাকবে, যতক্ষণ পর্যন্ত সেগুলোর দায়িত্ব আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা না হয়।

আসাদ পরিবারের ৫৩ বছরের শাসনের অবসান উদযাপনে গুলি চালানোও নিষিদ্ধ করেছেন এইচটিএস প্রধান। দামেস্কের পথে পথে হাজার মানুষকে উল্লাস করতে দেখা গেছে। অপরদিকে রাজধানীর সবচেয়ে বড় কারাগার সেদনায়া থেকে হাজার হাজার বন্দিকে মুক্ত করেছে বিদ্রোহীরা।

বিদ্রোহীরা বলছেন, আসাদ সরকারের নিপীড়নের শিকার শত শত মানুষ যারা কারাবন্দি ও বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে ছিলেন তারা এখন নিশ্চিন্তে বাড়ি ফিরতে পারেন। সিরিয়ার বিভিন্ন শহর থেকে হিজবুল্লাহও তাদের সদস্যদের প্রত্যাহার করেছে বলে জানা গেছে।

শেয়ার করুন