মুক্তিযোদ্ধা, সংগীত শিল্পী, চিত্র শিল্পী তাজুল ইমাম মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন ১৭ বছর বয়সে৷ নিউইয়র্ক প্রবাসী বীর মুক্তিযোদ্ধার সঙ্গে একাত্তর থেকে ২০২৪ এবং বাংলাদেশের অনাগত ভবিষ্যৎ নিয়েও কথা বলেছে ডয়চে ভেলে…
আপনি তো ১৭ বছর বয়সে মুক্তিযুদ্ধে গিয়েছেন, সেটা ছিল কিশোর বয়স৷ কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন না৷ কোন চেতনা আপনাকে মুক্তিযুদ্ধে যেতে উদ্বুদ্ধ করেছে?
বীর মুক্তিযোদ্ধা তাজুল ইমাম: তখন গোটা বাংলাদেশের মানুষ একজন নেতার নেতৃত্বে এক হয়েছিলেন। এটা একটা বিশাল ব্যাপার। আর পাকিস্তানের অপারেশন সার্চ লাইটের কারণে আমাদের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেল। তাই সেই তরুণ বয়সে আমি একটা সিদ্ধান্ত নিলাম সম্পূর্ণ নিজে নিজে। একটা দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিলাম। একটা পুরুষ মানুষ, সে কিশোর বা সদ্য যুবক যা-ই হোক না কেন, যখন একটা দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেয়, তখন সে পরিপূর্ণ পুরুষে পরিণত হয়। আমার মতো কিশোর বা তরুণরা অনেকেই এই সিদ্ধান্তটা নিয়েছিলেন। যুদ্ধে যেতে হবে, যুদ্ধে গিয়ে না-ও ফিরতে পারেন, দেশের জন্য প্রাণ দিতে হবে- এই সত্যটা জেনেই তারা মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
আপনি তো চট্টগ্রামে বেড়ে উঠেছেন। কিন্তু আপনার গ্রামের বাড়ি কোথায়?
আমার গ্রামের বাড়ি সিলেট। শৈশবে বড় হয়েছি রংপুরে। তারপরে চট্টগ্রামে পড়াশুনা করেছি। চারুকলা কলেজে ছিলাম।
আপনি তো প্রথমে ভারতে ট্রেনিং নিতে গেলেন। তারপর ফিরে এসে কোন মাসে, কোথায় যুদ্ধ শুরু করলেন?
আমি সীমান্ত অতিক্রম করি জুলাই’র ১ তারিখে। কমান্ডার জাহাঙ্গীর আমাকেসহ আরো অনেককে সাহায্য করেছেন গাড়ি দিয়ে। আমরা সীমান্ত অতিক্রম করে হরিণা ক্যাম্পে গিয়ে রিক্রুটেড হই। বাগাফা ট্রেনিং সেন্টারে ঘুরে আবার হরিণায় ফিরে আসি। এখানেই আমাদের ট্রেনিং হয়। এরপর আমাকে চয়েস দেয়া হয় যে, কোথায় আমি যুদ্ধ করবো। আমার বাড়ি সিলেটে হলেও সেখানে আমি থাকিনি। আমি থেকেছি চট্টগ্রামে। আমার বাবা-মা-ও সেখানে থাকেন। তাই আমি চট্টগ্রামেই যুদ্ধ করার কথা বলি। একটা ছোট গেরিলা প্লাটুন আমাদের জন্য তৈরি করা হয়।আমাদের কমান্ডার ছিলেন মানিক ভাই। আমরা চট্টগ্রাম শহরে প্রবেশ করি আগস্টের শেষে- ৩০-৩১ তারিখ। আমরা হরিণা থেকে হেঁটে সীমান্ত অতিক্রম করে কিছুটা পার্বত্য চট্টগ্রাম ঘেঁষে আমরা হাটহাজারি আসি। হাটহাজারিতে আমাদের আরেকজন সহযোদ্ধা ছিলেন বদিউল। বদিউল আলমের বাড়িতে অস্ত্র লুকিয়ে রেখে পুরো প্লাটুন আমরা শহরে ঢুকে পড়ি। পরে পাঁচলাইশ থানা থেকে দুইজন পুলিশ সদস্যের আমরা সহযোগিতা নিই। আমরা একটি গাড়িতে করে ওই দুই জন পুলিশকে নিয়ে এগিয়ে যাই। তখন তো পথে পথে আলবদরদের চেকপোস্ট ছিল। সব চেকপোস্ট আমরা সহজেই পার হলাম। কারণ, আমাদের সঙ্গে তো রাইফেল নিয়ে পুলিশ আছে, খাকি পোশাকে, গাড়ির সামনে বসে ছিল। ধরেই নিয়েছে আমরা রাজাকার বা আলবদর হবো। তখন আমাদের গাড়িতে ট্রাঙ্কে ১০টি স্টেনগান ছিল, বুলেট ছিল, গ্রেনেড ছিল। ধরা পড়লে বাঁচার কোনো উপায় ছিল না। তবে আমরাও প্রস্তুত ছিলাম যে, যদি ধরা পড়ি সেখানেই যুদ্ধ শুরু করবো। তো কিছু হয়নি। আমরা শহরে ঢুকে পড়ি। আগস্টের শেষ থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ, ডবলমুরিং এবং কোতোয়ালী এই তিন থানায় ঘুরেফিরে অপারেশন করি। এক জায়গায় অপারেশন করে আমরা সরে পড়তাম, ধরা পড়ার ভয় ছিল।
বিজয়ের দিনে কোথায় ছিলেন?
চট্টগ্রামের জালালাবাদের পথ ধরে ধর্মতলা একটা গ্রাম আছে। আমরা সেখানে একটা বাড়ির একটি ঘরে লুকিয়ে ছিলাম। ওটা ছিল আমাদের শেল্টার। এখানেই সূর্য সেন, প্রীতিলতাদের আশ্রয়স্থল ছিল। সেই গ্রামেই আমরা ছিলাম ১৬ তারিখে। আমাদের কাছে খবর ছিল পাকিস্তানি মিলিটারি আসবে। আমরা তৈরি ছিলাম ওরা এলে আমরা পেছন থেকে আক্রমণ করবো। তখন তো আর এরকম মেবাইল ফোন বা টেলিফোন যোগাযোগ ছিল না। অনেক খবর আমাদের কাছে ছিল না। ১৬ তারিখ সকাল বেলা জালালাবাদের সেই গ্রামের বাড়ির সামনে ৩০০-৩৫০ জন মানুষ এসে নিঃশব্দে অবস্থান নিলো। তারা জানতো আমরা এখানে থাকি। তারা আসলে আমাদের নিরাপত্তা দিতো। সবাই আমাদের ভালোবাসতো। ভোর বেলা তারা আমাদের দরজায় নক করে। আমরা তো তৈরি। আমাদের হাতে লোডেড গান। একজন দরজার কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করলেন, ‘কে?’ ওই বাড়িরই একজন তখন বাইরে থেকে বলল. ‘আপনারা বেরিয়ে আসেন, দেশ তো জয় বাংলা হয়ে গেছে। দেশ তো স্বাধীন হয়ে গেছে।’ চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় সে বলছে, ‘ওয়া দ্যাশ তো জয় বাংলা হই গি। দ্যাশ স্বাধীন ইই গি। আমনার একখানা বাইরে আসো। তেরারে মাইষে দেখত চায়।’ আমরা ৩০ জনের প্লাটুন বারান্দায় বেরিয়ে দেখি বাড়ির আঙিনায় মানুষের ঠাঁই নাই। এরপর আমাদের মুক্তিযোদ্ধা সন্দ্বীপের নূর আমিন প্রচণ্ড গর্জনে একটা স্লোগান দেয়, ‘‘জয় বাংলা।” পুরো গ্রামের মানুষ এক সঙ্গে স্লোগান দিলো, ‘‘জয় বাংলা।” তারপর তো পরস্পরকে জড়িয়ে ধরা। গ্রামের দর্জিকে নিয়ে আসা হলো তার সেলাই মেশিনসহ। একটা সবুজ লুঙ্গি দিয়ে সে পতাকা বানালো, তার মাঝখানে লাল সূর্য। মুক্তিযুদ্ধের সময় পাতাকায় লাল সূর্যের মাঝে একটা সোনালি রংয়ের মানচিত্র ছিল। সোনালি রঙ কোথায় পাবো ? আমি বাংলাদেশের একটা মানচিত্র এঁকে দিলাম হলুদ কাপড়ের ওপরে। ও কেটে সেলাই করে পতাকা বানালো। একটা লম্বা বাঁশের মাথায় উড়ানো হলো। ১০-১২ বছরে ছেলেরা আমাদের সামনে হাঁটলো। আমরা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তাদের পিছনে হেঁটে মিছিল করি। যুদ্ধের সময় কোনো পাখি ছিল না, একমাত্র কাক ছাড়া। ওই দিন ভোরে আমরা পাখির ডাক শুনি। এরপর আমরা সবাই এক কিলোমিটার দূরে ট্রাঙ্ক রোডে গেলাম। সেখানে আমরা নিজেরাই একটা চেকপোস্ট বসালাম। আরেকটা কথা না বললেই নয়। ওই এলাকা ছিল ক্যান্টনমেন্টের লাগোয়া। ওখানকার বাঙ্কার থেকে আমরা আর্তচিৎকার শুনছিলাম। আর আমরা দেখতে পারছিলাম প্রায় মুমূর্ষ কিছু মেয়ে, প্রায় বিবস্ত্র। আমরা বুঝতে পারছিলাম তারা কারা। কিন্তু আমরা তাদের উদ্ধারে যেতে পারছিলাম না। কারণ, চারপাশে মাইন পোঁতা ছিল। পরে আমরা আরেক দিক দিয়ে ঘুরে জিপ গাড়ি নিয়ে ক্যান্টনমেন্টের মূল গেট দিয়ে ভিতরে যাই। গিয়ে দেখি ১০-১২ জন মেয়ে বাঙ্কারের ভিতরে রক্তাক্ত অবস্থায়। তারা তখনো জানে না কী হয়েছে। ওদের বললাম, দেশ স্বাধীন হয়েছে, জয় বাংলা হয়েছে। তারপর ওদের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলাম। পরে আর ওদের খোঁজ নেয়া হয়নি যে ওরা কেমন আছে। কিন্তু এটা আমাদের জাতির জন্য লজ্জার যে, ওদের আমরা বদনাম করেছি।
আপনি তো এরপর চট্টগ্রামেই ছিলেন ৮০’র দশক পর্যন্ত। আপনি একজন চিত্র শিল্পী, আপনি সংগীত শিল্পী, গীতিকার…
হ্যাঁ, আমি চট্টগ্রামের ব্যান্ড সোলসের সঙ্গে প্রায় শুরু থেকেই ছিলাম। ১৯৭৪ সালে আমি সোলস-এ যোগ দিই। তারও অনেক পরে ৮০’র দশকের শুরুর দিকে আমি চলে আসলাম যুক্তরাষ্ট্রে।
যুক্তরাষ্ট্রে এমনিই গেলেন, না কোনো অভিমানে?
না না, সে তো অ্যাডভেঞ্চার। আমরা যুদ্ধ করা জেনারেশন। আমরা কি নিয়ম মানবো নাকি? আমরা কি সীমানার মধ্যে থাকবো নাকি?
আপনি তো ওখানে গিয়েও অনেক কাজ করছেন। চিত্র প্রদর্শনী করেছেন- কমান্ডার অ্যান্ড কমান্ডো…
আমি তো ছবি আঁকি। সারা জীবন ধরেই ছবি আঁকছি। আমি বাচ্চাদের মন্টেসরি এডুকেশন নিয়ে কাজ করি। আরো অনেক কাজের মধ্যে আমি আছি।
আপনার ফেসবুক কাভারে আমি যে ছবিটা দেখছি- আপনার এক হাতে পতাকা, আরেক হাতে একটা পোটলা, লেখা ১৯৭১। যেন আমি মুক্তিযুদ্ধকেই দেখতে পাই। এটা কি আপনারই আঁকা?
(হাসি) ওটা আমি নিজেই এঁকেছি। আমি এঁকেছি যখন আমি দেখলাম যে, বাংলাদেশে ১৯৭১, ৭ মার্চ, ২৫ মার্চ. ১৪ ডিসেম্বর, ১৬ ডিসেম্বর, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস- এগুলোকে অবজ্ঞা করা হচ্ছে, মুছে দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে, তা একদম স্পষ্ট। তখন আমি খুব ক্ষুব্ধ হয়েছি। কারণ, আমি তো একজন মুক্তিযোদ্ধা। এ বিজয় তো আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ অর্জন, শুধু আমার কেন গোটা বাংলাদেশের। আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। আমি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময়কার যে পতাকা সেই হাতে একজন মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের পুটলি হাতে এগিয়ে আসছে। সে ধাবমান।
কবে এঁকেছেন ছবিটা?
সম্প্রতি এঁকেছি৷ সপ্তাহ দুই-তিনেক আগে।
এটা কি আপনার আরেকটি দ্রোহের ভাষা?
হ্যাঁ, হ্যাঁ। এরকম ছবি আমি আরো এঁকেছি। আমার ফেসবুক প্রোফাইলে গেলে পাবেন। প্রথম যখন কোটাবিরোধী আন্দোলনের সময় আগুন জ্বললো, ধ্বংসাত্মক কাজ শুরু হলো, তখনই আমি প্রতিবাদ শুরু করি। তখন আমার একটা পেইন্টিং হলো, কার ইশারায় জ্বলছে স্বদেশ? আরেকটা ছবি এঁকেছি- আড়ালে কে? এগুলো ৫ আগস্টের আগে। পরে প্রফেসর ইউনূস যখন দেশে গিয়েছেন, তখনো আমি ছবি এঁকেছি। চমৎকার মাকড়শার জাল। একদিকে অ্যামেরিকান পতাকা, আরেকদিকে পাকিস্তানের পতাকা। কালো মাকড়শা এগিয়ে আসছে। রিসেট বাটনের কথা যখন তিনি বলেন সেটা নিয়েও আমি ছবি এঁকেছি।
রিসেট করা কি সম্ভব? বাঙালি জাতির জীবনের সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু। এগুলো কি রিসেট করা যাবে?
এটা সম্ভব নয়। এটা অসম্ভব। এই চেষ্টা বৃথা চেষ্টা ছাড়া আর কিছুই নয়। এবং এই চেষ্টার কারণে জাতির প্রচণ্ড একটা ফাটল তৈরি হবে। এই ফাটলের একদিকে থাকবে মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতার পক্ষের মানুষ আর আরেকদিকে থাকবে যারা স্বাধীনতার বিরোধী ছিল। কাদের গাত্রদাহ হয় ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে? কাদের গায়ে ফোস্কা পড়ে বিজয় দিবসে? সরকারের পতন হতেই পারে। এরশাদ সরকারের পতন হয়েছিল স্বৈরাচার বলে। হাসিনা সরকারের পতন হয়েছে। কিন্তু আমার মুক্তিযুদ্ধকে ভুলিয়ে দেবে? মুক্তিযোদ্ধাকে রাস্তার মাঝে অপমান করবে? পাঁচ বছর আগে মারা যাওয়া মুক্তিযোদ্ধার কবরে জুতা স্যান্ডেল রেখে আগুন দেবে? শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের গণকবরের ফলক ভেঙে খালে ফেলে দেবে? এটা আমরা মানবো? বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙা হলো, অপমান করা হলো। তাদের এত অসহ্য লাগে কেন বঙ্গবন্ধুকে? ধানমন্ডির ৩২ নাম্বারের বাড়ি তো শেখ হাসিনার বাপের বাড়ি নয়, বাংলাদেশের বাপের বাড়ি। এটা একটা মিউজিয়াম ছিল। এটা জাতির পিতার বাড়ি। তারা সারাদেশে মুক্তিযুদ্ধের ভস্কর্য ভেঙেছে।
বীর মুক্তিযোদ্ধা, আপনি কী দেখতে পাচ্ছেন সামনে বাংলাদেশে?
আমি প্রতিদিন মৃত্যুকামনা করছিলাম যে, এটা দেখার আগে কেন আমার মৃত্যু হলো না! কিন্তু এখন আর আমি করি না। আমি মনে করি, আমার দেশ আবার অধিকৃত হয়েছে। আমি মনে করি না নেবেল প্রাইজ পাওয়া এই পুরুষ আমার দেশে শান্তি ফিরিয়ে আনতে পারবে। বাংলাদেশে বিভিন্ন শান্তি মিশনে কাজ করা আমাদের গর্বিত সেনাবাহিনী, তারাও কিছু করছেন না।
আপনি যেটা বলছিলেন এই মুক্তিযুদ্ধের দেশ, মুক্তিযুদ্ধ করে যে দেশ স্বাধীন হয়েছে- তার ইতিহাস, তার সংগ্রামের ইতিহাস, তার বীরত্ব সেটা কি টিকে থাকবে না?
টিকে নিশ্চয়ই থাকবে। দেশের জনগণ এটাকে টিকিয়ে রাখবে। দেশের মানুষের বিবেক তো অন্ধ হয়ে যায়নি। দেশের বিবেকবান মানুষ এটা মনে রাখবেন। যারা স্বার্থের কারণে আজকে স্বাধীনতাবিরোধী পক্ষের সঙ্গে সুর মেলাচ্ছেন, গলা মেলাচ্ছেন, তাদের একসময় আফসোস করতে হবে এজন্য। কারণ, সময় এটাকে স্বীকৃতি দেবে না। এ অন্যায়কে মেনে নেবে না।
২০২৪ সালে যে হাজারেরও বেশি ছাত্র-জনতা প্রাণ দিলো, তাদেরও তো অবদান আছে। তারা তো শেখ হাসিনার স্বৈরশাসনের অবসান ঘটিয়েছে রক্ত আর প্রাণ দিয়ে। আপনার কাছে তাদের মূল্যায়ণ কী?
অবশ্যই আমি তাদের আত্মত্যাগ, তাদের বীরত্ব , তাদের অবদানকে সম্মান করি। তারা নিশ্চয়ই একটা কারণের জন্য প্রাণ দিয়েছেন। কিন্তু তাদের এই প্রাণ দেয়া ব্যর্থ হয়ে যাবে, যদি কোনো প্রতারক দল তাদের প্রাণের বিনিময়ে একটা হীন স্বার্থ চরিচার্থ করে। তখন এটা ব্যর্থ হয়ে যাবে।