সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারির বিষয়ে কোনো তথ্য পুলিশ সদরদপ্তরের জানা নেই। আজ রোববার দুপুরে এ তথ্য জানান পুলিশ সদরদপ্তরের মুখপাত্র এআইজি ইনামুল হক সাগর। তিনি বলেন, ‘এমন কোনো নোটিশ জারির তথ্য আমাদের কাছে নেই।’
পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান, পুলিশ সদরদপ্তর এর আগে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে নোটিশ জারির জন্য ইন্টারপোলে একটি চিঠি দিয়েছিল। তবে সে বিষয়ে কোনো আপডেট নেই।
এর আগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ তাজুল ইসলামের বরাতে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারির খবর প্রচার হয় গণমাধ্যমে।
তবে পরে বেলা সোয়া ১টার দিকে তাজুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘রেড নোটিশ জারির বিষয়ে প্রসিকিউশনের কাছে কোনো তথ্য নেই। এটি জানাবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বা পুলিশ সদর দপ্তর। ১৩ নভেম্বর পুলিশ সদর দপ্তরের সংশ্লিষ্ট শাখা এনসিবিতে ইন্টারপোলের মাধ্যমে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে নোটিশ জারি করতে আবেদন করে ট্রাইব্যুনাল।’
প্রধান কৌঁসুলি বলেন, ‘শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তিন মাসের মধ্যে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার তদন্ত শেষ করার লক্ষ্য রয়েছে। ট্রাইব্যুনালে অনেকের বিরুদ্ধেই অভিযোগ এসেছে। হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত অগ্রাধিকারভিত্তিতে হচ্ছে। তদন্ত প্রতিবেদন এসে পৌঁছালে বিচার শুরু হবে।’
এর আগে গত ১২ নভেম্বর প্রসিকিউশন জানিয়েছিল, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনাসহ দলটির পলাতক নেতাদের গ্রেপ্তারে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারির বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে পুলিশের মহাপরিদর্শককে (আইজিপি) চিঠি দিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।
এর আগে গত ১৭ অক্টোবর গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে আলাদাভাবে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল।
২৩ অক্টোবর ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম জানান, ট্রাইব্যুনালের জারি করা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা পুলিশ মহাপরিদর্শকের কাছে পাঠানো হয়েছে।
এরপর ১০ নভেম্বর আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেন, শেখ হাসিনাসহ পলাতকদের ফিরিয়ে আনতে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারি করতে যাচ্ছে সরকার।