জমজমাট লড়াইয়ের আভাস দিয়ে বড় ব্যবধানে হেরেছে কাগজে-কলমে এবারের বিপিএলের সেরা দল ও সর্বশেষ আসরের চ্যাম্পিয়ন ফরচুন বরিশাল। খুশদীল শাহর বোলিং এবং সাইফ হাসান ও অ্যালেক্স হেলসের ব্যাটিংয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার ৮ উইকেটে জিতেছে রংপুর রাইডার্স। বিপিএলে নিজেদের তিন ম্যাচেই জয় তুলে নিয়েছে নুরুল হাসান সোহানের দল।
তারকাসমৃদ্ধ দল বরিশালের। কিন্তু ব্যাট কিংবা বোলিংয়ে ভালো করতে পারেননি দলটির কেউ। শুরুতে তামিম ইকবাল বড় রানের আশা দিয়ে ১৮ বলে ২৮ রান করে ফিরে যান। পাঁচটি চারের সঙ্গে একটি ছক্কা মারেন তিনি। শেষে মোহাম্মদ নবী খেলেন ২১ রানের ইনিংস। মাঝে নাজমুল শান্ত, তাওহীদ হৃদয়, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহরা ব্যর্থ হওয়ায় ১৮.২ ওভারে ১২৪ রানে অলআউট হয় বরিশাল।
দলটির হয়ে ওপেনার শান্ত ৯ রান করে সাজঘরে ফেরেন। তিনে নেমে তাওহীদ হৃদয় ৪ রান করে আউট হন। কাইল মেয়ার্সের ব্যাট থেকে আসে ১৩ রান। পরে মুশফিকুর রহিম ১৫ ও মাহমুদউল্লাহ ১০ রান করে আউট হলে ৮৭ রানে ৭ উইকেট হারায় বরিশাল। ফাহিম আশরাফ (১), শাহিন শাহও (৮) রান পাননি।
জবাবে ১৫ রানে ২ উইকেট হারায় রংপুর। বিপিএল অভিষেকে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ জয়ী দলের অধিনায়ক আজিজুল হক তামিম গোল্ডেন ডাক মেরে ফিরে যান। তাকে আউট করেন তারই সতীর্থ ইকবাল হোসেন ইমন। ইনিংসের দ্বিতীয় ওই ওভারেই তৌফিক খান শূন্য করে ফিরে যান। পরে হেলস ও সাইফ হাসান ১১৩ রানের অপরাজিত জুটি গড়ে দলকে ৩০ বল থাকতে জয় এনে দেন। তামিমদের এই হারে অবশ্য শুরুতে সাইফ হাসানের ক্যাচ মিসের কিছুটা দায় আছে। একদম শেষে জীবন পান হেলসও।
ওপেনিংয়ে নামা ইংলিশ ওপেনার হেলস খেলেন ৪১ বলে ৪৯ রানের সময়োপযোগী ইনিংস। তার ব্যাট থেকে তিন ছক্কার সঙ্গে আসে চারটি চারের শট। সাইফ তার ৬২ রানের হার না মানা ইনিংস সাজান ৪৬ বলে। ডানহাতি এই ব্যাটার দারুণ ড্রাইভ-পুল শট দেখান। ছয়টি চার ও তিনটি ছক্কা হাঁকান।
রংপুরের হয়ে পেসার নাহিদ ৪ ওভারে ৩২ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন। নিজের শেষ ওভারে রানটা একটু বেশি দিলেও গতির তোপ দেখিয়েছেন তিনি। আউট করেছেন তামিম ও মাহমুদউল্লাহকে। খুশদীল ৪ ওভারে মাত্র ১৮ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন। ইফতিখার ২ ওভার হাত ঘুরিয়ে ১০ রান দিয়ে নিয়েছেন ২ উইকেট। বরিশালের হয়ে নিজের প্রথম ওভারে ২ উইকেট নিলেও পরে খরুচে ছিলেন তরুণ পেসার ইমন। তিনি ৩ ওভারে ৪১ রান দেন।