বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন বলেছেন, আমরা গণমাধ্যমে শুনেছি, ছাত্রশিবির প্রতিদিন গণ-ইফতার কর্মসূচিতে ৩ লাখ টাকা ব্যয় করছে। আমাদের প্রশ্ন, তারা এ বিপুল পরিমাণ অর্থ কোথা থেকে পাচ্ছে? একটি সাধারণ ছাত্রসংগঠন কীভাবে মাসে ৯০ লাখ টাকা ব্যয় করতে পারে?
আজ শুক্রবার (৭ মার্চ) বিকেল ৩টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের তৃতীয় তলার কনফারেন্স কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ প্রশ্ন উত্থাপন করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদল সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব অভিযোগ করেন, সম্প্রতি যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনার পর পরিকল্পিতভাবে ছাত্রদলের নাম জড়িয়ে সংবাদ প্রচার করা হচ্ছে। তিনি এ ধরনের প্রচারকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেন।
সম্প্রতি জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতা সারজিস আলমের সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনার তথ্য সংগ্রহ করছে ছাত্রদল। দলটির নেতারা জানিয়েছেন, এ বিষয়ে পর্যবেক্ষণ শেষে তাদের অবস্থান স্পষ্ট করা হবে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন বলেন, ‘আমাদের প্রাথমিক তথ্যে পাওয়া গেছে, ওই ঘটনায় ছাত্রদলের কোনো নেতাকর্মী জড়িত ছিলেন না।’
নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনায় ছাত্রদলকে দায়ী করে ফেসবুকে পোস্ট দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতা সারজিস আলম। তার এ বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে ছাত্রদল।
ছাত্রদল নেতাদের দাবি, সারজিস আলমের পোস্টে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ‘সন্ত্রাসী, দুষ্কৃতকারী এবং টোকাই’ হিসেবে উল্লেখ করে তাদের অপমান করা হয়েছে। সারজিস আলমের বক্তব্য গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের ভূমিকার মর্যাদা ক্ষুণ্ন করেছে। আমরা তার এ বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।’
সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদল নেতারা আরও অভিযোগ করেন, জাতীয় নাগরিক পার্টি ও গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের মাধ্যমে নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের নেতাদের পুনর্বাসন করা হচ্ছে। তারা এ ধরনের পদক্ষেপের নিন্দা জানান।