স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল জানিয়েছেন, তাবলিগ জামাতের নেতৃত্বের মধ্যে বিরোধের মীমাংসা হয়েছে উল্লেখ করে ঐক্যবদ্ধভাবে ১৫ থেকে ১৭ ফেব্রুয়ারি ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি বলেন, তাবলিগ জামাতের মধ্যে যে বিভেদ ছিল তা ইতোমধ্যেই মিটে গেছে। এখন ইজতেমার প্রস্তুতি চলছে।
আজ রোববার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে তাবলিগ জামাতের আসন্ন ইজতেমা বিষয়ে দুই পক্ষের নেতাদের নিয়ে বৈঠক শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বৈঠকে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আব্দুল্লাহ, স্থানীয় সংসদ সদস্য ও যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, গাজীপুর পৌরসভার মেয়র জাহাঙ্গীর আলম, পুলিশের আইজি, র্যাবের ডিজিসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মীমাংসার প্রস্তুতিমূলক সভা করতে এতো সময় লাগার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মাঠে কে ইমামতি করবেন, কে নেতৃত্ব দেবেন, সেসব খুঁটিনাটি বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। দু’পক্ষ মিলে যাতে সুন্দরভাবে ইজতেমা শেষ করা যায়, সেসব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। সারা পৃথিবীতেই তাবলিগ জামাতের মধ্যে এখন দ্বিমত রয়েছে। তার প্রভাব বাংলাদেশেও পড়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এখন ইজতেমা আয়োজনের কাজ চলছে। গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন মেয়র জাহাঙ্গীর আলম, ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, বিভাগীয় কমিশনার ও গাজীপুর জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে মাঠ পরিস্কার এবং যাবতীয় ইউটিলিটিজের ব্যবস্থা করা হবে। ইজতেমার বাকী কাজ কিভাবে হবে তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা চলছে।
এ সময় এক প্রশ্নের জবাবে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আকম মোজাম্মেল হক বলেন, আলোচনা চলছে, সমস্যার সমাধান হবে। কে বয়ান করবে, কে মোনজাত করবে এবং কে পরিচালনা করবে এগুলো নিয়ে ঝামেলা আছে। আর তা নিয়ে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে আলোচনা চলছে।
ধর্মপ্রতিমন্ত্রী শেখ মোহাম্মাদ আব্দুল্লাহ বলেন, আমরা যে যাই বলি প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমরা সবার কথা শুনেছি এবং একমতে পৌছেছি। দুই বিবাদমান পক্ষ মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে ইজতেমা হবে। এখন আমাদের পক্ষ থেকে দায়িত্ব হচ্ছে ইজতেমায় যাতে কোন প্রকার বিশৃঙ্খলা না হয় সেই ব্যবস্থা করা।
মাওলানা সাদ এবার আসবেন কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে শেখ মোহাম্মাদ আব্দুল্লাহ বলেন, এ বিষয়ে আজ কোনো আলোচনা হয়নি।