মডেল মেঘনা আলমের আটকাদেশ প্রশ্নে হাইকোর্টের রুল জারি

নিজস্ব প্রতিবেদক

হুট করে আলোচনার কেন্দ্রে চলে আসা মডেল ও ‘মিস আর্থ বাংলাদেশ-২০২০’ বিজয়ী মেঘনা আলমকে বিশেষ ক্ষমতা আইনে ৩০ দিনের আটকাদেশ প্রশ্নে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

আজ রোববার মেঘনার বাবার আনা রিটের শুনানি শেষে বিচারপতি রাজিক আল জলিল ও বিচারপতি তামান্না রহমান খালিদির সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

এদিন আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সারা হোসেন।

আদেশের বিষয়ে সারা হোসেন বলেন, মেঘনা আলমকে বিশেষ ক্ষমতা আইনে আটকাদেশ কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে রিটের বিবাদীদের (রেসপনডেন্ট) রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

গত বুধবার রাতে মডেল মেঘনা আলমকে রাজধানীর বসুন্ধরার বাসা থেকে আটক করা হয়। এরপর বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সেফাতুল্লাহ বিশেষ ক্ষমতা আইনে তাকে ৩০ দিন কারাগারে আটক রাখার আদেশ দেন।

১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ৩ ধারা অনুযায়ী, ক্ষতিকর কাজ থেকে নিবৃত্ত রাখার জন্য সরকার যেকোনো ব্যক্তিকে আটক রাখার আদেশ দিতে পারবেন।

আবার এই আইনের ৩(২) ধারা অনুযায়ী, জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বা অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট যদি সন্তুষ্ট হন, এই আইনের নির্দিষ্ট ধারার ক্ষতিকর অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত, তাহলে ওই ব্যক্তিকে আটক রাখার আদেশ দেবেন।

বিশেষ ক্ষমতা আইনের যেসব ক্ষতিকর কাজের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিকে আটক আদেশ দেওয়া যায়, সেগুলো হচ্ছে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব বা প্রতিরক্ষার জন্য হুমকি, বাংলাদেশের সঙ্গে বিদেশি রাষ্ট্রের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক সংরক্ষণের ক্ষতি করা, বাংলাদেশের নিরাপত্তা বা জননিরাপত্তা বা জনশৃঙ্খলার ক্ষতি করা, বিভিন্ন সম্প্রদায় , শ্রেণি বা গোষ্ঠীর মধ্যে শত্রুতা, ঘৃণাবোধ বা উত্তেজনা সৃষ্টি করা, আইনের শাসন বা আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার ক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ করা বা উৎসাহ প্রদান করা বা উত্তেজিত করা।

এই আইন অনুযায়ী ক্ষতিকর আরও কাজ হচ্ছে- জনসাধারণের জন্য অত্যাবশ্যক সেবা বা অত্যাবশ্যক দ্রব্যাদি সরবরাহে বাধা সৃষ্টি করা, জনসাধারণ বা কোনো সম্প্রদায়ের মধ্যে ভীতি বা আতঙ্ক সৃষ্টি করা এবং রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক বা আর্থিক ক্ষতি করা।

শেয়ার করুন