ঢাকা কলেজ ও ঢাকা সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের জেরে বুধবার ও বৃহস্পতিবার কলেজ দুটি বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের পর আজ মঙ্গলবার বিকালে কলেজ দুটি বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
ঢাকা কলেজের ভূগোল বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এ এস এম মুজাহেদুল ইসলাম বলেন, বুধবার ও বৃহস্পতিবার উচ্চ মাধ্যমিক, অনার্স ও মাস্টার্স সব পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের ক্লাস স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে এ দুই দিন অনার্স ও মাস্টার্সের ব্যবহারিক ও মৌখিক পরীক্ষা আগের সূচি অনুযায়ী চলবে।
এদিকে ঢাকা সিটি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অধ্যাপক এফ এম মোবারক হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বুধবার ও বৃহস্পতিবার কলেজের সব ক্লাস স্থগিতের বিষয়টি জানানো হয়।
এদিন দুপুর থেকে দুই কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রায় চার ঘণ্টা ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলে।
বিকাল ৪টার দিকে শিক্ষার্থীরা সড়ক থেকে সরে গেলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসার কথা জানান পুলিশের ধানমন্ডি জোনের সহকারী কমিশনার শাহ মোস্তফা তারিকুজ্জামান।
নিউ মার্কেট থানার ওসি মোহসিন উদ্দিন বলেন, দুপুরে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা সিটি কলেজের কাছে গিয়ে ইট পাটকেল ছুড়তে শুরু করলে ওই এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা শুরু হয়। সোমবার নাকি ঢাকা কলেজের এক ছেলেকে সিটি কলেজের ছাত্ররা মেরেছে। মঙ্গলবার ওই ঘটনার বদলায় ঢাকা কলেজের ছাত্ররা সিটি কলেজের ছাত্রকে মারধর করলে সংঘাতের সূচনা হয়।
ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার এক পর্যায়ে লাঠিসোঁটা নিয়ে অবস্থান নেন দুই কলেজের শিক্ষার্থীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড়ে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
সেখান থেকে শিক্ষার্থীদের সরিয়ে দিতে পুলিশের চেষ্টার মধ্যে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা এসে সিটি কলেজের নাম ফলক খুলে নিয়ে চলে যায়। পরে আবার উত্তেজনার শুরু হয়। পুলিশ তখন লাঠিপেটা করে এবং কাঁদুনে গ্যাস ছুড়ে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
কিন্তু পরে সিটি কলেজের শিক্ষার্থীরা তাদের কলেজের সামনে এবং ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড়ে অবস্থান নিলে উত্তেজনা গড়ায় বিকাল পর্যন্ত।
এই সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়ে ধানমন্ডির পপুলার হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যান।
পরে সেখান থেকে ছয়জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয় বলে হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো. ফারুক জানান।