২০২৬ আইসিসি নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ভেন্যুর তালিকা প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। ক্রিকেট নিয়্ন্ত্রক সংস্থার প্রকাশিত তালিকায় ফাইনালের ভেন্যু হিসেবে নির্বাচন করা হয়েছে ঐতিহাসিক লর্ডস স্টেডিয়ামকে।
২০২৬ সালের ১২ জুন পর্দা উঠবে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দশম আসরের। ১২ দলের অংশগ্রহণে হতে যাওয়া এই আসরের ফাইনাল ওই বছরের ৫ জুলাই। ম্যাচ হবে মোট ৩৩টি।
গতকাল বৃহস্পতিবার ৭টি ভেন্যুর নাম ঘোষণা করেন আয়োজকরা। ঘোষিত ভেন্যুগুলো হলো- লর্ডস, ওল্ড ট্র্যাফোর্ড, হেডিংলি, এজবাস্টন, হ্যাম্পশায়ার বোল, দ্য ওভাল এবং ব্রিস্টল কাউন্টি গ্রাউন্ড।
এর আগে ২০১৭ সালে নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালের আয়োজন করা হয়েছিল লর্ডসে। ওই সংস্করণে ভারতকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল ইংল্যান্ড। মোট ৮ দলের অংশগ্রহণে ওই আসর অনুষ্ঠিত হয়েছিল ডার্বি, লেইসেস্টার, ব্রিস্টল ও টন্টনে। ব্রিস্টল ও টন্টন ছিল সেমিফাইনালের ভেন্যু।
নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সর্বশেষ আসর (২০২৪) হওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশে। তবে জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে কিছুটা সময় লেগেছিল। ওই সময় নিরাপত্তা ব্যবস্থার অবনতির অজুহাতে শেষ মূহূর্তে নারী বিশ্বকাপ সরিয়ে নেওয়া হয় সংযুক্ত আরব আমিরাতে।
গত বছরের অক্টোবরে আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত ১০ দলের টুর্নামেন্টে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল নিউজিল্যান্ড নারী দল।
২০২৬ আসরে ৮ দল সরাসরি অংশ নেবে। এর মধ্যে অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, ভারত, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২০২৪ আসরের পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে জায়গা পেয়েছে। এছাড়া পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা আইসিসি নারীদের টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ে ২১ অক্টোবর পর্যন্ত সর্বোচ্চ অবস্থানে থাকায় সরাসরি কোয়ালিফাই করে। বাকি ৪ দল বাছাইপর্ব খেলে নিজেদের জায়গা অর্জন করবে।
৬টি করে দল নিয়ে দুই গ্রুপে ভাগ হয়ে খেলা হবে প্রথম পর্বের। রাউন্ড রবিন পদ্ধতিতে প্রত্যেক দল একে অপরের বিপক্ষে একটি করে ম্যাচ খেলবে। এই পর্বের খেলা শেষে গ্রুপ-চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ দল যাবে সেমিফাইনালে। এরপর দুই সেমিফাইনালে জয়ী দুই দল খেলবে ফাইনাল।