ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ঘোষণা দিয়েছেন, তিনি বৃহস্পতিবার (১৫ মে) তুরস্কে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে প্রস্তুত। একই সঙ্গে তিনি অবিলম্বে ও নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন।
বিশ্লেষকদের মতে, এই বৈঠক যদি হয়, তবে তা হতে পারে চলমান যুদ্ধের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়ার একটি সম্ভাব্য পদক্ষেপ।
এক বিবৃতিতে জেলেনস্কি বলেন, প্রাণহানি বন্ধ করতে দেরি করার কোনো মানে নেই। আমি বৃহস্পতিবার তুরস্কে পুতিনের অপেক্ষায় থাকব।
তিনি আরও বলেন, আমরা আগামীকাল থেকেই যুদ্ধবিরতির প্রত্যাশা করছি, যা এখন আলোচনার টেবিলে রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে দীর্ঘমেয়াদি, সম্পূর্ণ ও নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতি কূটনৈতিক সমাধানের পথ আরও কাছাকাছি আনতে পারে।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন যদিও তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন, তবে ১৫ মে ইস্তাম্বুলে শান্তি আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছেন। এই প্রেক্ষাপটে জেলেনস্কি বলেন, আমরা যে কোনো ফরম্যাটে আলোচনায় প্রস্তুত। আমি বৃহস্পতিবার তুরস্কে থাকব ও আমি পুতিনের উপস্থিতির প্রত্যাশা করছি।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও দুই দেশের মধ্যে অবিলম্বে শান্তি আলোচনা শুরুর আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ইউক্রেনের উচিত এখনই বৈঠকে বসা, কারণ এই রক্তপাতের অবসান দরকার।
এরই মধ্যে ইউক্রেন যুদ্ধবিরতির জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত ৩০ দিনের নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতিতে সম্মতি জানিয়েছে। তবে মস্কো এখনো তা প্রত্যাখ্যান করে আসছে।
ক্রেমলিন মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব নাকচ করে বলেন, এটি ইউক্রেনের জন্য ‘একটি কৌশলগত সুবিধা’ তৈরি করবে।
ইউক্রেন ও ইউরোপীয় মিত্ররা একযোগে ১২ মে থেকে যুদ্ধবিরতির জন্য ঐতিহাসিক দাবি উত্থাপন করেছে, যদিও পুতিনের প্রতিক্রিয়া এসেছে শুধু আলোচনার প্রস্তাব দিয়ে, স্পষ্ট কোনো প্রতিশ্রুতি ছাড়া।
সূত্র: দ্য কিয়েভ ইন্ডিপেনডেন্ট