কখনও গুপ্তহত্যা, কখনও গৃহবন্দি, কখনও মৃত্যুদণ্ড, কখনও বিমান দুর্ঘটনা। পাক রাজনীতিবিদদের জীবনটাই ঘটনাবহুল। মৃত্যুদণ্ড হয়েছিল জুলফিকার আলি ভুট্টোর, রহস্যজনক বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল জেনারেল জিয়া উল হকের, আততায়ীর গুলি ঝাঁঝরা করে দিয়েছিল বেনজির ভুট্টোকে, এই মুহূর্তে দেশের বাইরে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন মোশারফ। সেই অমোঘ নিয়তির শিকার প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ ও তাঁর পরিবারও। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক, তাঁর জীবনের গুরুত্বপূর্ণ ওঠা-পড়া।
১৯৪৯- লাহোর কাশ্মীরি শিল্পপতি পরিবারে জন্ম। পঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ে আইনে স্নাতক, তারপরই পারিবারিক ইস্পাত ব্যবসায় যোগদান
১৯৭৬- পারিবারিক ব্যবসার রাষ্ট্রায়ত্ত্বকরণ করে জুলফিকার আলি ভুট্টো সরকার। তখনই যোগদান পাকিস্তান মুসলিম লিগ দলে। ভুট্টো ও শরিফ পরিবারের বিবাদের সেই শুরু
১৯৮১- পাক-পঞ্জাবের অর্থমন্ত্রী হিসেবে কাজ শুরু। চার বছরের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী ও নিজের দল পাকিস্তান মুসলিম লিগ (নওয়াজ) প্রতিষ্ঠা
১৯৯০- প্রথম বারের জন্য পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত
১৯৯৩- পাক-প্রেসিডেন্টের নির্দেশে অপসারিত। সুপ্রিম কোর্টের রায়ে ফেরত এলেও গণ আন্দোলনের চাপে পদত্যাগ। নির্বাচনে পাকিস্তান পিপল্স পার্টির বেনজির ভুট্টোর কাছে গো-হারা
১৯৯৭- দ্বিতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত। এই জমানাতেই হয় পরীক্ষামূলক পরমাণু বিস্ফোরণ
১৯৯৯- পাক জেনারেল পারভেজ মুশারফের সামরিক অভ্যুত্থানে ফের অপসারিত। পাকিস্তানে শুরু সামরিক শাসন। দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত ও যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণা
২০০০-২০০৭- সৌদিতে অবরুদ্ধ জীবন।
২০০৭- নির্বাচনে লড়তে পাকিস্তানে ফিরে আসা। পরের বছরই শেষ মোশারফের সামরিক শাসন
২০০৮- নির্বাচনে বেনজির ভুট্টোর কাছে ফের পরাজিত। নির্বাচনের আগেই বেনজিরের মৃত্যু
২০১৩- তৃতীয় বারের জন্য পাক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত
২০১৬- পানামা পেপারে উঠে আসে শরিফ পরিবারের নাম। প্রকাশ্যে আসে বেআইনি সম্পত্তি, ভুয়ো পারিবারিক ব্যবসার লেনদেনের কথা
২০১৬- শরিফের দুর্নীতি নিয়ে তদন্ত কমিশন তৈরি করে পাক সুপ্রিম কোর্ট
২০১৭- শরিফকে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে বরখাস্ত করে পাক সুপ্রিম কোর্ট
১৩ এপ্রিল, ২০১৮- শরিফের রাজনীতিতে ফেরা নিষিদ্ধ ঘোষণা করে পাক সুপ্রিম কোর্ট
৬ জুলাই, ২০১৮- দুর্নীতির দায়ে দশ বছরের কারাদণ্ড ঘোষণা।