ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে টানা ১০ দিনের ছুটিতে দেশ। ঈদ উপলক্ষে ঢাকা ছেড়েছিল লাখ লাখ মানুষ। ফলে ফাঁকা হয়ে যায় রাজধানী ঢাকা। এরই মধ্যে পরিবারসহ ঢাকায় ফিরতে শুরু করেছে কর্মমুখী মানুষ। তবে স্কুল-কলেজ ও অফিস-আদালত না খোলায় যানজটবিহীন সড়ক। ফলে অভ্যন্তরীণ রুটে স্বস্তিতে চলাচল করতে পারছেন নগরবাসী।
শুক্রবার (১৩ জুন) রাজধানীর কল্যাণপুর, শ্যামলী, শাহবাগ, কারওয়ান বাজার, বাংলামোটর ও ফার্মগেট ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
বাংলামোটর-শাহবাগ ঘুরে দেখা গেছে, সকাল থেকে সড়কে মোটরসাইকেল, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, রিকশা এবং ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা বেশি ছিল। যাত্রীবহনকারী বাসের সংখ্যা ছিল একেবারেই নগণ্য। যাত্রীরা অনেকক্ষণ অপেক্ষা করার পর বাসে উঠছেন। রাস্তায় কোনো যানজটের দেখা মেলেনি।
ফার্মগেট-কারওয়ান বাজার ঘুরে সড়কে বেশ কিছু বাসের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। বাসগুলোতে মোটামুটি যাত্রী ছিল। সড়কে মোটরসাইকেল, রিকশা, প্রাইভেটকার এবং সিএনজিচালিত অটোরিকশার সংখ্যা বেশি ছিল।
এদিকে, সকাল থেকে রাজধানীর সড়কের কোথাও ছিল না কোনো যানজট। বিভিন্ন গন্তব্যমুখী সাধারণ মানুষ স্বাচ্ছন্দ্যে যানবাহন উঠতে পারছেন। নেই অফিস সময়ে লোকাল গাড়ির গেটে ঝুলে যাত্রার চিত্রও।
এদিকে, বাস স্টপেজগুলোতে গাড়ির অপেক্ষায় যাত্রীকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। এছাড়া সড়কে নিজস্ব পরিবহন, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা এবং সিএনজিচালিত অটোরিকশার উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।
ফাঁকা রাজধানীতে স্বাচ্ছন্দ্যে চলাচলে স্বস্তি প্রকাশ করছেন সাধারণ মানুষ। মো. তালেব হোসেন বলেন, ঈদের ছুটি শেষ হয়নি এখনো। এমনিতেই রাস্তা ফাঁকা। আবার আজ শুক্রবার রাস্তা আরও ফাঁকা হয়ে গেছে। কোথাও যানজট নেই। খুব সহজেই এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যেতে পারছি। ঢাকার রাস্তা সবসময় এমন হলে ঢাকার মানুষের চলাচলের জন্য অনেক সুবিধা হয়।
সাদেক নামে অন্য একজন বলেন, আজ ১০টা দিন রাস্তায় কী যে শান্তিতে চলাফেরা করছি সেটা বলে বোঝানো যায় না।
মো. কুদরত আলী বলেন, ছুটির পর থেকে এখন পর্যন্ত একদিনও রাস্তায় চলাচলে কোনো সমস্যায় পড়তে হয়নি। খুব দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছে যেতে পেরেছি। কিন্তু আবার দুদিন পরেই ঢাকার যে অবস্থা ছিল সেই অবস্থায় হয়ে যাবে। সবাই ঢাকায় চলে আসবে, আবার যানজট।
সাধারণত ঈদের সময় মানুষ পরিবার নিয়ে গ্রামের বাড়িতে ছুটে যায়। এ বছরও এর ব্যতিক্রম হয়নি। রেলস্টেশন, বাস টার্মিনাল আর লঞ্চঘাটের সেই ঈদের ভিড়ের ছাপ এখনো শহরের শূন্যতায় স্পষ্ট। শহরের বাসিন্দাদের বড় একটা অংশ এখন গ্রামে, পরিবার-পরিজনের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগিতে ব্যস্ত।
ঈদুল আজহার আগে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শেষ কর্মদিবস ছিল ৪ জুন। ৫ জুন থেকে শুরু হয় টানা ছুটি। ১৪ জুন পর্যন্ত টানা ১০ দিন ছুটি ঘোষণা করা হয়।