ডোনাল্ড ট্রাম্পের আগ্রাসী অভিবাসন নীতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ চলছে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে। ‘নো কিংস’ শিরোনামের এ বিক্ষোভে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি অংশ নিয়েছেন মার্ক রুফালো, জিমি কিমেল, গ্রেসি আব্রামস, কেরি ওয়াশিংটন, নাতাশা রথওয়েল, অলিভিয়া রদ্রিগোর মতো হলিউড তারকারা। এবার সংগীতশিল্পী শাকিরাও অভিবাসীদের পক্ষ নিয়ে কথা বললেন।
বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শাকিরা জানান, ট্রাম্পের অভিবাসী নীতির কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসীরা এখন নিরন্তর ভয়ের মুখোমুখি হচ্ছেন, যেটা তাঁকেও পীড়া দিচ্ছে। শাকিরা নিজেও একজন অভিবাসী। কৈশোরে কলম্বিয়া থেকে যুক্তরাষ্ট্রের মিয়ামিতে গিয়ে বসবাস শুরু করেছিলেন। সে কারণে অভিবাসীদের প্রতি সব সময়ই আন্তরিক তিনি। এ বছরের গ্র্যামি পুরস্কার তিনি উৎসর্গ করেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের ‘অভিবাসী ভাইবোনদের’, সব সময় তাঁদের পাশে থাকার অঙ্গীকারও করেছিলেন।
আজকে যখন যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসীরা মারাত্মক সংকটে, তখন একজন অভিবাসী হিসেবে কী অনুভূতি শাকিরার? বিবিসির এ প্রশ্নের উত্তরে শিল্পী বলেন, ‘এর অর্থ হলো ক্রমাগত ভয়ের মধ্যে বসবাস করা, এটা বেদনাদায়ক।’ অভিবাসীদের প্রতি শাকিরার স্পষ্ট বার্তা, ‘এখন আগের চেয়ে বেশি করে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আমাদের আরও জোরে আওয়াজ তুলতে হবে। স্পষ্ট করে বলতে হবে—একটি দেশ তার অভিবাসন নীতি পরিবর্তন করতে পারে, কিন্তু মানুষের সঙ্গে সব সময় মানবিক আচরণ করতে হবে।’
শাকিরা জানান, কৈশোরেই কলম্বিয়ায় তিনি তারকাখ্যাতি পেয়েছিলেন। তবে তাঁর নজর ছিল আন্তর্জাতিক দুনিয়ায়। তিনি জানতেন, আন্তর্জাতিক সাফল্য পেতে হলে ইংরেজিতে গাইতে হবে। কিন্তু তিনি ইংরেজি জানতেন না। শাকিরা বলেন, ‘আরও অনেক কলম্বিয়ান অভিবাসীর মতো আমিও উন্নত ভবিষ্যতের আশায় যুক্তরাষ্ট্রে আসি। ওই সময় তো গুগল বা চ্যাটজিপিটি ছিল না। স্প্যানিশ টু ইংরেজি অভিধানই ছিল ভরসা। গান লেখার জন্য ইংরেজি শিখতে চাইতাম। কিন্তু সবকিছু সহজ ছিল না।’
ওই পরিস্থিতিতে শাকিরাকে সাহায্য করেছে কবিতা। তিনি বলেন, ‘এরপর আমি কবিতা পড়তে শুরু করি। লিওনার্দ কোহেন, ওয়াল্ট হুইটম্যান, বব ডিলানকে পড়ে বুঝতে শিখেছি, কীভাবে ইংরেজিতে গান লেখা যায়। এভাবেই আমি ধীরে ধীরে দক্ষ হয়ে উঠেছি।’