গাজায় একদিনে ৯৪ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করল ইসরায়েল

মত ও পথ ডেস্ক

গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন। সংগৃহীত ছবি

যুদ্ধবিধ্বস্ত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড গাজায় হত্যাকাণ্ড চালিয়েই যাচ্ছে ইসরায়েল। সর্বশেষ গতকাল মঙ্গলবার ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত গাজা উপত্যকার বিভিন্ন এলাকায় ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৯৪ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে অন্তত ৬০ জন নিহত হয়েছেন ত্রাণ সহায়তার জন্য অপেক্ষা করতে গিয়ে। লেবাননের সংবাদমাধ্যম আল-মায়েদিনের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার বিভিন্ন এলাকায় হামলা চালানো হয়। গাজা শহরের দক্ষিণের আল-জাইতুন এলাকায় একটি বাড়িতে ইসরায়েলি গোলাবর্ষণে এক নারী নিহত হন। গাজার উত্তরের জাবালিয়ার পূর্বাঞ্চলে কয়েকটি আবাসিক ভবন গুঁড়িয়ে দেয় ইসরায়েলি বাহিনী। ওই এলাকায় বিমান হামলাও অব্যাহত রয়েছে।

গাজা উপত্যকার দক্ষিণের খান ইউনিস শহরের কেন্দ্রস্থলে একটি আবাসিক বাড়িতে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান। শহরের আল-কাতিবা এলাকার আশপাশ এবং স্ট্রিট ৫-এও গোলাবর্ষণ করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে হামাস বেসামরিক মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে। তারা এর জন্য ‘ইসরায়েল-আমেরিকা পরিচালিত ত্রাণ বিতরণ ব্যবস্থাকে’ দায়ী করেছে।

হামাসের ভাষ্য, ত্রাণ বিতরণের এই ত্রুটিপূর্ণ পদ্ধতির কারণে এখন পর্যন্ত ৫১৬ জন শহীদ হয়েছেন, আহত হয়েছেন ৩ হাজার ৭৯৯ জন, এবং নিখোঁজ রয়েছেন ৩৯ জন। এক বিবৃতিতে হামাস বলেছে, গাজার বিভিন্ন এলাকায় ত্রাণ বিতরণের স্থানগুলোকে ‘ইচ্ছাকৃত মৃত্যুকূপ’ বানিয়েছে ইসরায়েল। খাদ্য সরবরাহকে হাতিয়ার বানিয়ে তারা পরিকল্পিতভাবে ফিলিস্তিনিদের অনাহার, অপমান এবং গণহত্যার শিকার করছে।

হামাসের বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘এই অপরাধ আন্তর্জাতিক সহায়তা এবং লজ্জাজনক নীরবতার মধ্যে চলছে। এটি মানবাধিকার ও আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের স্পষ্ট উদাহরণ।’ বিবৃতিতে হামাস অবিলম্বে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং জাতিসংঘকে হস্তক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছে। তারা নিরাপদ, জাতিসংঘ-পরিচালিত ত্রাণ বিতরণ ব্যবস্থাপনা চালুর দাবি জানিয়েছে।

এ ছাড়া হামাস আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি যুদ্ধাপরাধের জন্য দায়ীদের বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়েছে। একই সঙ্গে গাজায় দুই মিলিয়নের বেশি অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনির ওপর চলমান ‘গণহত্যা-যুদ্ধ’ বন্ধে জরুরি ও ব্যাপক পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

শেয়ার করুন