গাজায় চলমান যুদ্ধ বন্ধে যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত একটি যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব নিয়ে ফিলিস্তিনের অন্যান্য রাজনৈতিক গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে হামাস। শুক্রবার (৪ জুলাই) ভোরে এক বিবৃতিতে গোষ্ঠীটি জানায়, আলোচনা শেষে তারা মধ্যস্থতাকারীদের কাছে তাদের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জমা দেবে।
প্রস্তাবিত এই চুক্তিতে ৬০ দিনের একটি যুদ্ধবিরতির কথা বলা হয়েছে, যার শুরু ও শেষ চিহ্নিত হবে মোট ২৮ জন ইসরায়েলি বন্দির মুক্তির মধ্য দিয়ে। এর মধ্যে ১০ জন জীবিত এবং ১৮ জন নিহত বন্দি দেহাবশেষ রয়েছে, যাদের তিন ধাপে ইসরায়েলের কাছে হস্তান্তরের কথা বলা হয়েছে।
একাধিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, হামাস এই প্রস্তাবের প্রতি ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে এবং তারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, বন্দিমুক্তির সময় কোনো ধরনের জনসমাগম বা আনুষ্ঠানিকতা পালন করা হবে না। অন্যদিকে, ইসরায়েল সম্মত হয়েছে, যতদিন যুদ্ধ শেষ করার বিষয়ে আলোচনা চলবে, ততদিন তারা সামরিক অভিযান স্থগিত রাখবে।
চলমান যুদ্ধবিরতি প্রক্রিয়াকে একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হিসেবে দেখা হচ্ছে, কারণ অক্টোবর ২০২৩ থেকে শুরু হওয়া গাজা যুদ্ধ এখনও থামার কোনো স্থায়ী লক্ষণ দেখায়নি। তবে এই প্রস্তাব বাস্তবায়ন হলে যুদ্ধ বন্ধের পথে একটি নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে যেতে পারে।
মধ্যস্থতাকারী দেশগুলো, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র, কাতার ও মিসর এই আলোচনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে বলে জানা গেছে। এখন বিশ্ববাসীর দৃষ্টি হামাসের চূড়ান্ত প্রতিক্রিয়ার দিকে, যা যুদ্ধের ভবিষ্যত নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর আগামী সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র সফরের আগে গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য ইসরায়েল যুক্তরাষ্ট্রের প্রবল চাপে রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। নেতানিয়াহু এই সফরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল